এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি- দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সিএনজি চালকের মেয়ের মৃত্যু হয়েছে বীরগঞ্জে, হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী করছে পরিবারের সদস্যরা, হত্যা না আত্মহত্যা সন্দেহের প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য সুরতহাল রিপের্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।
দৈনিক ইত্তেফাক ঢাকা অফিসের সিএনজি চালক নারায়নগঞ্জের বাসিন্দা আনিছুর রহমান জানান, দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সাতোর ইউনিয়নের নুরুল ইসলামের পুত্র পিয়ার আলী নিকট কন্যা আকলিমার বিয়ে হয়। তারা স্বামী স্ত্রী বিবাহের পর হতে চট্রগ্রামে বসবাস করছিল। তাদের সংসারে ২টি সন্তান রয়েছে। কাউকে না জানিয়ে পিয়ার আলী ২ মাস আগে মেয়ে আকলিমা ও ২ সন্তানকে তাদের গ্রামের বাড়ী সাতোরে পিতা নুরুল ইসলামের কাছে রেখে যায়। তখন হতে জামাই পিয়ার আলী শশুর বাড়ীর সঙ্গে কোন সম্পর্ক রাখেনি। এমনকি মেয়েকেও যোগাযোগ রাখতে দেয়নী। মোবাইল ফোনও রিসিভ করতে দিতো না। হঠাৎ করে গত ৪ মে বৃহস্পতিবার সকালে মেয়ে আকলিমা মারা যাওয়ার সংবাদ তাদেরকে দেওয়া হয়। তাই মেয়ের অপমৃত্যুতে আমার সন্দেহ আছে।
পিয়ার আলীর পিতা নুরুল ইসলাম জানায়, গত বুধবার ৩ মে বেলা ১১টায় সকলের দৃষ্টির আড়ালে বৌমা বিষ পান করে মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটপট করার সময় জানায় সে বিষ পান করেছে। মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী ঠাকুরগাঁও আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে দিনাজপুর এম রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। সেখানেও অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আকলিমার মুত্যু হয়।
আকলিমার বাবার সন্দেহের কারনে দুই দিন পর সংবাদ পেয়ে পুলিশ সরেজমিনে গিয়ে লাশের সুরতহাল লিপিবদ্ধ করে মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য লাশ উদ্ধার করে দিনাজপুর এম রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করে।
থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ৫মে শুক্রবার ভোররাতে সাতোর কবরস্থানে আকলিমার দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।