নিউজ ডেস্ক:
আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিসের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন। তবে বিদায়ী ম্যাচে যে তারা ইতিহাসের সাক্ষি হয়ে যাবেন তা কি কল্পনা করেছিলেন। কারণ রবিবার দিবাগত রাতে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্ট জেতার মধ্য দিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ পকেটে ভরে নিয়েছেন মিসবাহ-ইউনিসরা। আর এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো ক্যারিবীয়দের মাঠে টেস্ট সিরিজ জয়ে স্বাদ পেল পাকিস্তান।
দীর্ঘ দিন ধরে পাকিস্তানের ক্রিকেটের দুই স্তম্ভ ইউনিস খান ও মিসবাহ উল হক। দলের প্রয়োজনে হাল ধরেছেন। সামনে থেকে নেতৃত্বও দিয়েছেন। মিসবাহর নেতৃত্বে যে প্রথমবারের মতো টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠে পাকিস্তান। ইউনিসও কম যান না। সীমিত ওভারের ক্রিকেট ছাড়লেও পাকিস্তান যে একটিবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়েছিল, সেই দলের অধিনায়ক ছিলেন টেস্ট ক্রিকেটে পাকিস্তানের হয়ে একমাত্র দশ হাজার রানের মালিক ইউনিস।
বিদায় টেস্টে পাকিস্তানের দুই কিংবদন্তি খুব ভালো পারফর্ম করতে না পারলেও এই সিরিজেও হেসেছে মিসবাহর ব্যাট। সদ্য সমাপ্ত সিরিজে দু’টি ৯৯ রানের ইনিংস ছিল তার। ভাগ্য খারাপ বলে ১ রানে জন্য দু’টি সেঞ্চুরির মুখ থেকে ফিরে এসেছেন। তবে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আরও একবার সাফল্য এনে দিলেন মিসবাহ। যাতে সতীর্থদের অবদানও অনেক। তাই সিরিজ জয় উপহার দিয়ে দীর্ঘদিনের দুই সতীর্থকে যোগ্য প্রতিদান দিতে পেরেছেন আজহার-সরফরাজরা।
রবিবার টেস্টের শেষ দিনে সিরিজ হার এড়াতে অসম্ভব কিছু করে দেখাতে হতো ওয়েস্ট ইন্ডিসকে। কিন্তু একমাত্র রোস্টন চেজ ছাড়া সেই পথে হাঁটেননি কেউ। যদিও সতীর্থদের আসা যাওয়ার মাঝে তুলে নিয়েছে সেঞ্চুরিও। তবে ১০১ রানে অপরাজিত চেজের সান্ত্বনা হেরেও তার হাতে উঠেছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। তৃতীয় টেস্টের পঞ্চম দিনে ৯ উইকেট হাতে নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে ক্যারিবীয়রা। জিততে হলেও তাদের করতে হতো আরও ২৯৭ রান। কিন্তু সিরিজ সেরা ইয়াসির শাহের ঘূর্ণিতে সেই আশা শুরুতেই ধূলিসাৎ হয়ে যায়। ৫ উইকেট নিয়েছেন এই লেগ স্পিনার। তিন উইকেট পেয়েছেন হাসান আলী।