সমীকরণটা এমন ছিলো যে ইতালি যদি ফ্রান্সের সঙ্গে ড্র’ও করেও তখনো তারা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে কোয়ার্টারে কোয়ালিফাই করবে। যদিও সে সুযোগ দেয়নি ফ্রান্স। গতকাল রাতে ইতালিকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে কোয়ার্টারে পা রেখেছে ফ্রান্স। অন্যদিকে আয়ারল্যান্ডকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে ইংল্যান্ড।
মিলানে শুরু থেকেই ইতালিকে চাপে রেখে খেলতে থাকে ফ্রান্স। সাফল্য পেতেও খুব একটা সময় অপেক্ষা করতে হয়নি তাদের। ম্যাচের মাত্র দুই মিনিটের মাথায় দলকে এগিয়ে নেন এড্রিয়েন রাবিয়োট। লুকাস দিনিয়ের কর্ণারে বক্সের ভেতর লাফিয়ে হেডের মাধ্যমে গোলের ঠিকানা খুঁজে নেন এই মিডফিল্ডার।
ম্যাচের ৩৩ মিনিটে আবারও পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। দিনিয়েরের ফ্রি কিক গোল পোস্টে লেগে ভিকারিও’র গায়ে লেগে বল চলে যায় জালে। ২ মিনিট পর আন্দ্রেয়া ক্যাম্বিয়ানো এক গোল পরিশোধ করলে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় ইতালি। ২-১ ব্যবধানে লিড নিয়ে বিরতিতে যায় অতিথিরা।
দ্বিতীয়ার্ধে দু’দলই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকে। ম্যাচের ৬৫ মিনিটে রাবিয়োট নিজের দ্বিতীয় গোলে ব্যবধান ৩-১ এ নিয়ে যান। দিনিয়েরের ফ্রি কিক থেকে দ্বিতীয় গোলটিও হেডে আদায় করে নেন এই মিডফিল্ডার।
খেলার বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফরাসিরা। এবারের আসরে দু’দলের প্রথম দেখায় গত সেপ্টেম্বরে ঘরের মাঠে প্রথম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার পরও ৩-১ ব্যবধানে হেরেছিল ফ্রান্স। এবার সেই প্রতিশোধই নিলো ফরাসিরা।
এই জয়ে ছয় ম্যাচে চার জয় ও এক ড্র নিয়ে ফ্রান্সের পয়েন্ট ইতালির সমান ১৩ থাকলে গোল ব্যবধানে দিদিয়ের দেশমের শিষ্যরা এগিয়ে থাকায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে কোয়ালিফাই করে তারা।
অন্যদিকে রাতের আরেক ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ৫-০ গোলে তুলোধুনা করে আরেক গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে ইংল্যান্ড।
ম্যাচে আক্রমণে এগিয়ে থাকলেও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ডেডলক ভাঙতে পারছিল না ইংল্যান্ড। সুযোগ তৈরি করেও ফিনিশিংয়ের কারণে গোলের দেখা পাচ্ছিল না স্বাগতিকরা। ফলে গোলহীনভাবে শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
বিরতির পর আইরিশদের রক্ষণে একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে সফলতা পায় ইংলিশরা। ৫৩ থেকে ৫৮ মিনিট এই ৫ মিনিটের ঝড়ে উড়ে যায় আয়ারল্যান্ড। সফল স্পটকিক থেকে গোলের সূচনা হয় হ্যারি কেইনের মাধ্যমে।
৫৫ মিনিটে আবারও গোল উদযাপনে মাতে ইংল্যান্ড। প্রতিপক্ষের পায়ে লেগে আসা বলে দারুল ভলিতে স্কোরলাইন ২-০ করেন অ্যান্থনি গর্ডন।
তিন মিনিট পর আলতো টোকায় ইংলিশদের ৩-০ গোলের লিড এনে দেন কনর গ্যালঘার। এরপর ৭৫ মিনিটে বদলি হিসেবে নেমে বোয়েন ও ৭৯ মিনিটে টেইলর হারউড বেলিস গোল করলে ৫-০ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত হয় ইংল্যান্ডের।
গ্রুপের আরেক ম্যাচে ফিনল্যান্ডকে ২-০ গোলে হারানো গ্রিসের পয়েন্টও ১৫। তবে মুখোমুখি লড়াইয়ে পিছিয়ে দুইয়ে আছে তারা, শীর্ষ পর্যায়ে ওঠার প্লে-অফ খেলবে তারা। ৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আয়ারল্যান্ড। ছয় ম্যাচের সবগুলোই হেরেছে ফিনল্যান্ড।
ইংল্যান্ডের এই জয়ের মাধ্যমে দলটির অন্তর্বর্তীকালীন কোচ লি কার্সলির অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটেছে। আগামী বছর টমাস টুখেলের কোচিংয়ে নতুন অধ্যায় শুরু করবে ইংলিশরা।