রবিবার, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫
রবিবার, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫

আড়াই হাজার টাকা করে দেয়া অর্থ পেয়েছে প্রায় ৩৫ লাখ পরিবার

নিউজ ডেস্ক:

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র পরিবারকে এককালীন আড়াই হাজার টাকা করে দিতে ৫০ লাখ পরিবারের যে তালিকা করা হয়েছিলো, তা থেকে প্রায় ৩৫ লাখ পরিবার সেই অর্থ পেয়েছে। তবে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা দেয়ার পরিকল্পনা করায় তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ১৪ লাখেরও বেশি মানুষ। তথ্য হালনাগাদ করে বাকিদের এ অর্থ দেয়া হবে।

সম্প্রতি নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান কর্মসূচির বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

৫০ লাখ পরিবারকে দেয়ার জন্য খরচসহ অর্থ বিভাগ বরাদ্দ রেখেছিলো এক হাজার ২৫৭ কোটি টাকা। শুরুর দিকে যাদের টাকা দেয়া হয়েছিলো, মোবাইল ফোন সচল না থাকার কারণে তাদের মধ্যে ২ হাজার ৩৩১ জনের ৩৪ লাখ ৪৮ হাজার ৪০০ টাকা ফেরত আসে। অর্থ বিভাগ এখন তাদের বাদ দিয়ে মোট তালিকা করেছে ৪৯ লাখ ৩০ হাজার ১৫৪ জনের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েকবার তালিকা হালনাগাদের পরও প্রাপ্ত তালিকায় অনিয়ম ও অসঙ্গতি থাকায় ১৪ লাখ ৩২ হাজার ৮০১ জনকে সম্পূর্ণভাবে বাদ দিয়েছে অর্থ বিভাগ।

এতে উল্লেখ করা হয়, ৬ আগস্ট পর্যন্ত ৩৪ লাখ ৯৭ হাজার ৩৫৩ জন আড়াই হাজার করে টাকা পেয়েছেন। এতে ৮৭৯ কোটি ৫৮ লাখ ৪৩ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭ লাখ ২২ হাজার জন বা ২০ দশমিক ৬৭ শতাংশ পেয়েছেন ঢাকা বিভাগ থেকে। আর সবচেয়ে কম ২ লাখ ৫৩ হাজার ১৩২ জন বা ৭ দশমিক ২৬ শতাংশ পেয়েছেন বরিশাল বিভাগ থেকে।

এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ছয় লাখ ৭০ হাজার ৩১২, রাজশাহী বিভাগে চার লাখ ৩১ হাজার ২৯৫, রংপুর বিভাগে চার লাখ ৫১ হাজার ৫১৩, খুলনা বিভাগে চার লাখ ৭৪ হাজার ৬৩, সিলেট বিভাগে দুই লাখ ৫৪ হাজার ২০৪ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুই লাখ ৫৩ হাজার ৩৮১টি পরিবারকে অর্থ দেয়া হয়েছে।

এদিকে, যোগ্য লোকেরাই যেন টাকা পান, সে জন্য তালিকা সংশোধনের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।

তিনি বলেন, ৫০ লাখ লোকই টাকা পাবেন। যাদের কাছে এখনও টাকা পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়নি তাদের তথ্য হালনাগাদ করা হচ্ছে।

জানা গেছে, মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে নগদ ১৭ লাখ, বিকাশ ১৫ লাখ, রকেট ১০ লাখ এবং শিওর ক্যাশের মাধ্যমে ৮ লাখ মানুষের কাছে টাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু এনআইডির বিপরীতে মোবাইল নম্বর না থাকায় অনেকের টাকা পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। সরকার পরে গত জুন থেকে ১০ টাকার আমানত-সংবলিত ব্যাংক হিসাব খোলার ব্যবস্থা করে।

অর্থ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ১২ লাখ ৯০ হাজার ১৬৪ জনকে প্রায় ৩২৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকার সরকারি সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে নগদ। আর সবচেয়ে কম ৯০ হাজার ৯৮০ জনকে ২২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা পৌঁছানো হয়েছে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে। এ ছাড়া বিকাশ ৯ লাখ ৩০ হাজার, রকেট ৭ লাখ ৫ হাজার এবং শিওর ক্যাশ ৪ লাখ ৮০ হাজার জনকে টাকা বিতরণ করেছে।

Similar Articles

Advertismentspot_img

Most Popular