নিউজ ডেস্ক: নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে আলমডাঙ্গা ও জীবননগরে ১১জন নেতাকর্মিকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে পৌর বিএনপির সভাপতি, উপজেলা বিএনপি নেতা, জামায়াত নেতাসহ ৬ জনকে আটক করেছে। গতকাল বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে গোবিন্দপুর গ্রামের ইয়াছিন মালিথার ছেলে বর্তমানে এক্সচেঞ্জপাড়ার পৌর বিএনপির সভাপতি আনিছুর রহমান আনিছ, ভদুয়া গ্রামের বিএনপি নেতা সোহরাব শাহর ছেলে আলম শাহকে আটক করেছে। এর আগে থানা পুলিশ আসমানখালি বাজারে নাশকতার পরিকল্পনা করার সময় ১১ জন বিএনপি, জামায়াত ও মেজর বজলুল হুদা পরিবারের দুইজনকে আটক করেছিলো। এ পর্যন্ত থানা পুলিশ মোট ২৫ জনকে আটক করেছে। আসমানখলি বাজার থেকে ১১জন আটকসহ ৬টি বোমা উদ্ধার করেছিল। উল্লেখ্য, ওই মামলার আসামি মেজর বজলুল হুদা পরিবারের ১ জনকে জামিন দিয়েছে আদালত।
এদিকে, জীবননগর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে জামায়াতের ৫ নেতাকর্মি গ্রেফতার হয়েছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুর রহমানের নেতৃত্বে জীবননগর থানার এসআই সিরাজুল ইসলাম ও এসআই শতদল মজুমদার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে রাতভর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নাশকতা ও মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে সীমান্ত ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামের মৃত আলী আহম্মদ ম-লের ছেলে সীমান্ত ইউনিয়ন জামায়াতের সহ-সভাপতি মঈনউদ্দিন (৫৩), হাসাদহ গ্রামের আব্দুর জব্বারের ছেলে হাসাদহ ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী কবির হোসেন (৪০), সীমান্ত ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামের মৃত জয়নাল তরফদারের ছেলে জামায়াত সদস্য সীমান্ত ইউপি সদস্য জহুর আলম মেম্বার (৪৫), বাঁকা ইউনিয়নের মিনাজপুর গ্রামের মুনসুর আলীর ছেলে বাঁকা ইউনিয়ন জামায়াত সদস্য কাউসার আলী (৪৫) এবং বাঁকা ইউনিয়নের সুটিয়া গ্রামের আ. ওয়াহেদের ছেলে বাঁকা ইউনিয়ন ছাত্র শিবিরের সভাপতি মফিজুল রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।