মামলার অন্যতম আসামিরা হলেন- আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান ফারুক, ছাত্রলীগ নেতা বাদশা হায়াত আলী, আশরাফুল হক, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান পিণ্টু, আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কে এম মুনজিলুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মাসুম বিল্লাহ, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, জেহালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসানুজ্জামান হান্নান, জেহালা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোখলেচুর রহমান শিলন, ডাউকি ইউপি চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম, কুমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাইদ পিণ্টু, বেলগাছি ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান চঞ্চল, হারদী ইউপি চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান ওল্টু, নাগদাহ ইউপি চেয়ারম্যান এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল, খাসকররা ইউপি চেয়ারম্যান তাফসির আহমেদ লাল, চিৎলা ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান সরোয়ার, খাদিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোজাহিদুর রহমান জোয়ার্দ্দার লোটাস, গাংনী ইউপি চেয়ারম্যান মুন্সি এমদাদুল হকসহ মোট ৪৭ জন। এছাড়া অজ্ঞাতনামা ৬০-৭০ জনকে আসামি করে এই মামলাটি দায়ের করা হয়।
জানা যায়, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আলমডাঙ্গা এ টিম মাঠ, হারদী ও ভাংবাড়িয়া গ্রামে সমাবেশের কর্মসূচি দেয়। আলমডাঙ্গা ও হারদী সমাবেশে শিক্ষার্থীরা আসা শুরু করলে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এসময় জিআই পাইপ, লোহার রড, বাঁশের লাঠি ও কাঠের বাটামসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আন্দোলনকারী অন্তত ২০ শিক্ষার্থীকে পেটায় তারা। এ ঘটনায় কয়েকজন শিক্ষার্থীর মাথা ফাটিয়ে ও হাত ভেঙ্গে দেয় তারা।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। আমরা তদন্তপূর্বক আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। কোনো আসামি ধরা পড়েছে কি না জানতে চাইলে ওসি বলেন, এখনো কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। তবে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, গতকাল রোববার এই মামলার অন্যতম আসামি মোখলেসুর রহমান আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন বলে জানা গেছে।