বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫

আমরা কি বাবা-মা হারা একজন দরিদ্র আয়েশার দায়িত্ব নিতে পারি না ?

মু.ওয়াছীঊদ্দিন,লক্ষীপুর প্রতিনিধিঃ- লক্ষীপুর সদর উপজেলার ঝাউডগী গ্রামেরই মেয়ে আয়শা আক্তার। ঝাউডগী মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে এ বছর জিপিএ ৪.১৫ পেয়ে দাখিল পাশ করেছে। এটি তার মাদ্রাসার সর্বোচ্ছ রেজাল্ট। নানান প্রতিকুলতা পেরিয়ে দাখিল পাশ করা আয়েশা উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন দেখছে। দরিদ্র আয়েশার বাবা মা কেউ বেঁচে নেই। পিতা মাতা হীন মেয়েটি নানীর কাছে থেকে পড়াশুনা করছে। নানীও দারিদ্রতার কষাঘাতে জর্জরিত। টিনের দোচালা ঘরে নাতনী আয়েশাকে নিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে থাকেন নানী।

আয়েশার বয়স যখন মাত্র দুই তখনই সে তার বাবা আঃ রহিমকে হারায়। মা ছকিনা বেগম মারা যায় গত ডিসেম্বরে। বাবা হারানো ও মায়ের মৃত্যু শোক নিয়ে সদ্য দাখিল পাশ করা এই মেয়েটি এখন উচ্চ শিক্ষা নিতে চায়। কিন্তুু এই উচ্চ শিক্ষা নেওয়ার প্রধান অন্তরায় দারিদ্রতা। গ্রাম থেকে ৭-৮ কিঃ মিঃ দূরের ভবানীগঞ্জ কলেজ অথবা মাদ্রাসায় সে ভর্তি হতে চায়। ভর্তির জন্য যে খরচ সে টাকাও নেই তার কাছে। ভর্তি পরবর্তী প্রতিদিনের যাতায়াত ভাড়া ও অন্যান্য শিক্ষা উপকরণ ক্রয়ের খরচ নিয়ে সে চিন্তায় আছে।

পড়া-শুনার খরচ চালাতে না পারলে এই মেধাবী মেয়েটিকেও হয়তো অল্প বয়সে বিয়ের পিড়িতে বসতে হবে এই আশংকা এলাকার স্থানীয় সচেতন মহলের। তাই প্রতিবেশী, স্থানীয় প্রশাসন ও দানশীল ব্যক্তিরা উক্ত মেয়ের পড়াশুনার খরচে এগিয়ে আসলে মেয়েটি তার স্বপ্ন প‚রণ করে দেশ ও জাতির কল্যাণ করতে পারবে বলে জানালেন তার শিক্ষক মাস্টার আবু তাহের। তিনি আরো বলেন, আমরা এ সমাজের মানুষেরা কি বাবা-মা হারা একজন আয়েশার শিক্ষার দায়িত্ব নিতে পারিনা?

Similar Articles

Advertismentspot_img

Most Popular