নিউজ ডেস্ক:
এবার আপন জুয়েলার্সের গুলশানের সুবাস্তু শাখায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ২১২ কেজি সোনা ও ডায়মন্ড জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
গতকাল সোমবার আপন জুয়েলার্সের সিলগালাকৃত গুলশান শাখায় দিনব্যাপী অভিযানে ওই সোনা ও জায়মন্ড জব্দ করা হয়। সংস্থাটির মহাপরিচালক ড. মইনুল খান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, গতকাল দোকানটি বন্ধ পাওয়ায় আমাদের টিম সিলগালা করে রেখেছিল। আজ শাখাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ২১১ কেজি ৪০৮ গ্রাম সোনা এবং ৩৬৮ গ্রাম ডায়মন্ড জব্দ করা হয়। জব্দকৃত সোনা ও ডায়মন্ডের বাজার মূল্য ৯৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
এর আগে গত রোববার আপন জুয়েলার্সের ৪ শাখায় অভিযান চালিয়ে ২৮৬ কেজি স্বর্ণালঙ্কার ও ৬১ গ্রাম ডায়মন্ড জব্দ করা হয়। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৮৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। অলঙ্কারগুলো প্রতিষ্ঠাগুলোর জিম্মায় রাখা হলেও জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে গড়মিল পাওয়া গেছে। কাগজপত্র যাচাই করা হচ্ছে।
তদন্তের স্বার্থে এরই মধ্যে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ ও গ্রেপ্তারকৃত ছেলে সাফাতসহ চার মালিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে। তাদের আগামী ১৭ মে শুল্ক গোয়েন্দা সদর দপ্তরে হাজির হতে বলা হয়েছে।
রোববারের অভিযানে আপন জুয়েলার্স মৌচাক মার্কেট শাখায় ৫৩ কেজি ৫১৮.০২ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালঙ্কার ও ১৭.৩৫ গ্রাম ডায়মন্ড, সীমান্ত স্কোয়ার শাখায় ৮১ কেজি ৬৮৮.৬ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কার ও ৩৩.৪৪ গ্রাম ডায়মন্ড, উত্তরা শাখায় ৮২ কেজি স্বর্ণালঙ্কার ও ৯.৭ গ্রাম ডায়মন্ড এবং ডিসিসি মার্কেট শাখায় ৬৮ কেজি ৪৬২.৩০ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যায়। মোট ২৮৬ কেজি স্বর্ণালংকার ও ৬১ গ্রাম ডায়মন্ড পাওয়া যায়।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ মার্চ বন্ধুর সঙ্গে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে বনানীর দ্য রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের শিকার হন দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী। ওই ঘটনায় গত ৬ মে রাজধানীর বনানী থানায় সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ ও সাদমান সাকিফসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তারা।