বুধবার, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫
বুধবার, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫

আপনার বাচ্চা ঘুম ভেঙে স্কুলে যায়! জেনে নিন

নিউজ ডেস্ক:

সম্প্রতি স্লিপ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, যেসব বাচ্চারা সকাল-সকাল স্কুলে যায়, তাদের মানসিক অবসাদ এবং অ্যাংজাইটিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। আসলে ঠিক মতো ঘুম না হওয়ার কারণেই এমনটা হয়ে থাকে।
গবেষণায় দেখা গেথে ৮ ঘণ্টার কম সময় ঘুমানোর কারণে ব্রেন ফাংশন যেমন কমতে থাকে, তেমনি বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যাওয়ার কারণে স্ট্রেসও বাড়তে থাকে, যা মানসিক অবসাদ এবং অ্যাংজাইটি অ্যাটাকের পথকে প্রশস্ত করে।

ঠিক মতো ঘুম না হওয়ার কারণে যে কেবল মানসিক চাপই বাড়ে, এমন নয়, সেই সঙ্গে পরবর্তী জীবনে ওবেসিটি এবং হার্ট ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। ১৪-১৭ বছর বয়সি প্রায় ১৯৭ জন ছাত্র-ছাত্রীর উপর এই গবেষণাটি চালানা হয়েছিল। পরীক্ষা চলাকালীন গবেষকরা লক্ষ করেছিলেন নিয়মিত ৮-১০ ঘণ্টা ঘুম না হওয়ার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের শরীরের উপর, বিশেষত মস্তিষ্কের অন্দরে খারাপ প্রভাব পরছে। ফলে বাড়ছে মানসিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা।

যা করবেন?
একথা ঠিক যে স্কুল টাইমিং চেঞ্জ হবে না। তাই তো অন্য উপায়ে বাচ্চদের শরীরে এমন একটা প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যা মানসিক অবসাদকে ধারে কাছেও ঘেঁষতে দেবে না। আর এই কাজটি সম্ভব হবে একমাত্র সঠিক ডায়েটের মাধ্যমে।
প্রসঙ্গত, বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, আমাদের আশপাশে এমন এমন কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলি নিয়মিত খেলে ডিপ্রেশনের শিকার হওয়ার হাত থেকে বাচ্চারা রক্ষা পায়।
তাই তো যাদের সকালে স্কুলে যেতে হয়, তাদের প্রতিদিন খেতে হবে এই খাবারগুলি।

দই : স্কুল থেকে ফেরার পর প্রতিদিন যদি আপনার বাচ্চাকে এক বাটি করে দই খাওয়াতে পারেন, তাহলে তাদের শরীরে সরোটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যা স্ট্রেস কমানোর পাশাপাশি ব্রেন পাওয়ার বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর একবার ব্রেন পাওয়ার বেড়ে গেলে অ্যাংজাইটির মতো সমস্যা কো কমেই, সেই সঙ্গে পড়াশোনাতেও উন্নতি ঘটে।

সাইট্রাস ফল : পাতি লেবু, কমলা লেবু এবং মৌসাম্বি লেবুর মত সাইট্রাস ফলের শরীরে মজুত রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রকৃতিক সুগার, যা স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ তো কমায়ই, সেই সঙ্গে মানসিক অবসাদকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই তো বাচ্চাদের প্রতিদিন এক বাটি করে ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

বাদাম : এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন বি২, ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিঙ্ক। এই সবকটি উপাদান সেরাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বার করে দেয়। ফলে কোনওভাবেই স্ট্রেস ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।

মাছ : প্রতিটি বাঙালি বাড়িতেই এখনও প্রতিদিন মাছ রান্নার রেওয়াজ রয়েছে, যে কারণে খেয়াল করে দেখবেন ব্রেন পাওয়ারের দিক থেকে বাঙালি অনেকের থেকেই বেশ এগিয়ে রয়েছে। আসলে মাছে উপস্থিত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন বি, বি৬ এবং বি১২ এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, এই উপাদানগুলি মানসিক অবসাদের মতো রোগের আক্রমণ থেকে বাচ্চাদের বাঁচাতেও নানাভাবে সাহায্য় করে থাকে।

রসুন : এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের অন্দরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের মাত্রা কমানোর মধ্যে দিয়ে স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটি কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, ছোট থেকেই নিয়মিত রসুন খাওয়ার অভ্যাস করলে হার্টের কর্মক্ষমতা যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি ডায়াবেটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে।

Similar Articles

Advertismentspot_img

Most Popular