নিউজ ডেস্ক:
বৈদিক জ্যোতিষের একটা বিরাট জায়গা জুড়ে রয়েছে নিউমেরোলজি বা সংখ্যাতত্ত্ব। তিনটি সংখ্যা এই শাস্ত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। নিউমেরোলজি মতে, এই তিন সংখ্যা হল— বার্থ নাম্বার, ডেস্টিনি নাম্বার এবং নেম নাম্বার। এই তিন সংখ্যার দ্বারাই খুলে যেতে পারে অনাগত ভবিষ্যৎ সম্পর্কিত জ্ঞান।
প্রথমে জেনে নিন কীভাবে জানতে হয় বার্থ নাম্বার। আপনার জন্মের তারিখ থেকেই জানা যায় এই সংখ্যা। আপনার জন্ম যদি ৮ তারিখে হয়ে যাকে, তালে ৮-ই আপনার বার্থ নাম্বার। কিন্তু আপনার জন্ম ১২ তারিখ হলে আপনার বার্থ নাম্বার হবে— ১+২=৩। এর পরে ডেস্টিনি নাম্বার। এক্ষেত্রে আপনার জন্মতারিখ, জন্ম মাস ও বছরের যোগফলটিই হবে সেই সংখ্যা। অর্থাৎ আপনার জন্মদিন ৮ মার্চ, ১৯৮৩ হলে ডেস্টিনি নাম্বার হবে— ৮+৩+১+৯+৮+৩=৩২, অর্থাৎ ৩+২=৫। আর নেম নাম্বার অবশ্যই আপনার নামের অক্ষরসংখ্যার যোগফল।
আপনার ভবিষ্যৎ ঠিক কেমন, জানায় আপনার ডেস্টিনি নাম্বার। এই সংখ্যা থেকেই জানা যেতে পারে ঠিক কোন বয়সে আপনার জীবনে সাফল্য ঝাঁপিয়ে আসবে।
আপনার ডেস্টিনি নাম্বার যদি ১ হয়ে থাকে, তবে আপনার উপরে রবির প্রভাব থাকবে সর্বাধিক। এমন ক্ষেত্রে ২২-২৪ বছর বয়সে সাফল্য আসতেই পারে।
২ যাঁদের ডেস্টিনি নাম্বার, তাঁদের উপরে চন্দ্রের প্রভাব সর্বাধিক। জীবনের ২৪ এবং ৩৮ বছর বয়স তাঁদের সাফল্যের মুখ দেখাতে পারে।
৩ ও ৫-এর অধিকারীরা বৃহস্পতি ও শুক্রের প্রভাবাধীন থাকেন। জীবনের ৩২তম বছরে এঁরা সাধারণত সাফল্যের মুখ দেখে থাকেন।
৪ যাঁদের ডেস্টিনি নাম্বার, তাঁরা রাহুর প্রভাবাধীন। এঁদের সাফল্যলাভের বয়স ৩৬ বছর।
৬ সংখ্যাটি যাঁদের, তাঁরা বুধ দ্বারা পরিচালিত হন। এঁদের জীবনে সাফল্য আসে ২৫ বছর বয়সে।
৭ ডেস্টিনি নাম্বার-সম্পন্ন মানুষের জীবেন কেতুর প্রভাব সর্বাধিক। মোটামুটি ভাবে ৩০-এর কোঠায় এঁরা সফল হন।
৮-এর অধিকারীরা শনির প্রভাবে থাকেন। তাঁদের সাফল্য আসে কিছুটা দেরিতে। ৩৬ থেকে ৪২ বছর বয়সে তাঁদের জীবনে সৌভাগ্যোদয় হয়।
৯ যাঁদের ডেস্টিনি নাম্বার, তাঁরা ২৮ বছর বয়সে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন লক্ষ করবেন। এই বয়স থেকেই খ্যাতি ও সাফল্য তাঁদের জীবনে প্রবেশ করবে। সূত্র: এবেলা।