নিউজ ডেস্ক:
শেষ হলো ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। ৩১ জানুয়ারি মেলা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয় মেলার মেয়াদ।
সহায়ক বাণিজ্য পরিবেশ, স্থিতিশীল রাজনৈতিক অবস্থা এবং দেশে বিরাজমান অর্থনৈতিক কর্মচাঞ্চল্যের ধারাবাহিকতায় এ বছর বাণিজ্য মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল বিগত বছরগুলোর তুলনায় বেশি।
গতকাল শনিবার বিকেলে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পাশের ময়দানে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতিবছরই মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলার আয়োজন করে। এবার ১ জানুয়ারি বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে পুরস্কৃত করা হয় নান্দনিক ও স্থাপত্য দিক বিবেচনায় শ্রেষ্ঠ প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন ও স্টলকে। শ্রেষ্ঠ প্যাভিলিয়ন হিসেবে প্রথম পুরস্কার পায় স্বনামধন্য ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিকস, অটোমোবাইলস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস প্রস্তুতকারী দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন। সেই সাথে সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবেও পুরস্কার পায় ওয়ালটন।
জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের হাত থেকে বাণিজ্য মেলার সবচেয়ে সম্মানজনক এই দুটি পুরস্কার গ্রহণ করেন ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক ও বিপণন বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ইভা রিজওয়ানা।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এ বছর মেলায় ৫৯০টি বিভিন্ন ধরনের স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেওয়া হয়। পাশাপাশি মেলা প্রাঙ্গণে একটি ই-সপ, তিনটি রক্ত সংগ্রহ কেন্দ্র, তিনটি মা ও শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র এবং একটি প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়।
মেলায় শিশু-কিশোরদের বিনোদনের বিষয়টি মাথায় রেখে দুটি দৃষ্টিনন্দন শিশু পার্ক করা হয়। সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য তৈরি করা হয় বাগান ও ফোয়ারা।
দেশি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বিশ্বের পাঁচটি মহাদেশের ২০টি দেশ থেকে ৫০টি প্রতিষ্ঠান এ মেলায় অংশ নেয়।
মেলার নিরাপত্তার জন্য বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, আনসার ও বেসরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি বাসানো হয় ১৪০টি সিসি ক্যামেরা।
গতকাল শনিবার সমাপনী অনুষ্ঠানে এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মাফরুহা সুলতানা বলেন, ‘দেশি ক্রেতা-দর্শনার্থীর উপচে পড়া ভিড় এবং বিদেশি দর্শনার্থীদের আগমন আমাদের আরো অুনপ্রাণিত করেছে। বাণিজ্য মেলা সময়ের চাহিদা হিসেবে বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। বিনোদন এবং বিপণন এ মেলার বিশেষ বৈশিষ্ট্য।’
তিনি জানান, এ বছর বাণিজ্য মেলায় সামগ্রিকভাবে পণ্য বিক্রি হয়েছে ১১৩.৫৩ কোটি টাকার এবং রপ্তানির অর্ডার হয়েছে ২৪৩.৪৪ কোটি টাকার।