নিউজ ডেস্ক:
সমাজ-জীবন এবং অর্থনীতিতে নারীর অবদান কতটা প্রবল তার বহিঃপ্রকাশ ঘটানোর অভিপ্রায়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী ‘এ ডে উইদাউট এ উইম্যান’ (নারীহীন একটি দিবস) পালন করা হয়।
কর্মক্ষেত্রে নারীরা অনুপস্থিত থেকে নিজ নিজ সিটিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন। এর স্পষ্ট প্রকাশ ঘটে নর্থ ক্যারোলিনা, ভার্জিনিয়া এবং ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের স্কুলসমূহে। নারী শিক্ষক আর কর্মচারিরা উপস্থিত না হওয়ায় এসব রাজ্যের সকল স্কুলে ছুটি ঘোষণায় বাধ্য হন কর্তৃপক্ষ।
নিউইয়র্ক সিটি, ওয়াশিংটন ডিসি, ফিলাডেলফিয়া, বোস্টন, লস এঞ্জেলেসেও নারীরা কর্মবিরতিতে ছিলেন। তবে এসব অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি দিতে হয়নি। পুরুষরাই তা চালিয়েছেন জোড়াতালি দিয়ে।
এদিকে, নিউইয়র্ক সিটিতে নারীর সম-অধিকার দাবিতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ থেকে একটি অংশ ছুটে যান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মালিকানাধীন ‘ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেল’-এ হামলা করতে। এ সময় কর্তব্যরত পুলিশ কমপক্ষে ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে।
নারীর প্রতি নানা সময়ে ট্রাম্পের করা অশোভন মন্তব্যের প্রতিবাদে এবং কর্মক্ষেত্রে নারীর সমঅধিকার নিশ্চিতের দাবিতে গত ২১ জানুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত বিশাল নারী-সমাবেশের উদ্যোক্তারাই মূলত ‘এ ডে উইদাউট এ উইমেন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস এ দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে কর্মক্ষেত্রসহ সমাজ-রাজনৈতিক অঙ্গনে নারীর সমঅধিকারের প্রত্যাশা পূরণের স্বার্থেই নারী শিক্ষায় সকলকে মনোযোগী হতে হবে। নারী ক্ষমতায়নে উদারতার বিকল্প নেই। কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্য দূর করতে হবে যত দ্রুত সম্ভব। দেশে দেশেই মান্ধাতার আমল থেকেই নারী অধিকারকে অবদমিত করার একটি চেষ্টা চলে আসছে। ধর্মীয় কারণেও নারী প্রতিভা বিকাশের পথ অনেক দেশে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ অবস্থার অবসান ঘটিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনের সর্বত্র নারীর মর্যাদা সুসংহত করার মধ্য দিয়েই উন্নয়নের প্রত্যাশা পূরণ করা সম্ভব।