নিউজ ডেস্ক:
জার্মানির সাবেক নাৎসি নেতা অ্যাডলফ হিটলার ও তার স্ত্রী ইভা আত্মহত্যা করেননি বরং আর্জেন্টিনায় পালিয়ে গিয়েছিলেন। আত্মহত্যার কথা রটিয়ে দিয়েই তারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন।
মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র প্রাক্তন কর্মকর্তা রব বেয়ার ও মার্কিন স্পেশাল ফোর্সেস -এর সদস্য টিম কেনেডি তাদের এক অনুসন্ধান রিপোর্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
আল-কায়েদার নেতা ওসামা বিন লাদেন ও আবু আজ-জারকাভির বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানে জড়িত ছিলেন টিম কেনেডি। ১৪ হাজার দলিলপত্র ঘেঁটে তারা এ রিপোর্ট দাঁড় করিয়েছেন।
টিম কেনেডি তার রিপোর্টে বলেছেন, অনুসন্ধানে দেখা গেছে ১৯৪৫ সালর ৩০ এপ্রিল হিটলার তার স্ত্রী ইভা ব্রাউনসহ আত্মহত্যা করেছেন যে বলে কাহিনী প্রচলিত রয়েছে, তার বিকল্প সত্যও থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বার্লিনে হিটলারের বাঙ্কারে এমন একটি বর্হিগমন পথ ছিল যেটি সম্পর্কে কেউ কিছুই জানতেন না বা এটি তাদের নজর এড়িয়ে গেছে। এ পথ দিয়ে এমন এলাকায় যাওয়া সম্ভব ছিল, যেখানে বিমান ওঠানামার উপযোগী রানওয়ের মত বিশাল খোলামেলা জায়গা ছিল।
আরেকটি দলিলে দেখা গেছে, ডেনমার্কে হিটলারকে দেখার দাবি করেছেন জার্মানির কুখ্যাত বিশেষ বাহিনী এসএস’এর এক কর্মকর্তা। চূড়ান্ত গন্তব্যে যাওয়ার জন্য ডেনমার্কে বিমান পরিবর্তন করেছিলেন হিটলার। হিটলারের আর্জেন্টিনায় ফোর্থ রাইখের কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা ছিল বলে জানিয়েছেন বায়ের।
এ দাবির স্বপক্ষে কিছু বক্তব্যও তুলে ধরেছেন তিনি। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর আর্জেন্টিনায় হাজার হাজার নাৎসি সদস্য জড়ো হয়েছিল। এ ছাড়া, নাৎসি পদার্থবিদরা স্থানীয় একটি পরমাণু স্থাপনায় কাজ করতে শুরু করার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি। বিস্ফোরণ ঘটনার কাজে ব্যবহৃত একটি যন্ত্র পরীক্ষার জন্য তারা সেখানে জড়ো হয় বলে দাবি করেছেন বায়ের।
হিটলারের দেহাবশেষ বলতে একটি মাত্র চোয়ালের হাড়ই কেবল উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল। এটি আছে রাশিয়ার কাছে। এটি পরীক্ষা না করে এ কাহিনীর চূড়ান্ত রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব নয়। তবে রাশিয়া সেই হাড় পরীক্ষা করতে দেবে কি না এখন তার অপেক্ষায় থাকতে হবে।