নিউজ ডেস্ক:
মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা আগামী ২১ জুলাই উদযাপিত হবে। এ উপলক্ষে দেশের সবাই উৎসবের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অথচ সেখানে তারেক রহমানের ফোনের ভয়ে আতঙ্কে দিন পার করছেন বিএনপির ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, গত দুই দিন ধরে তারেকের ফোন ধরছেন না বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এবং ব্যবসায়ী নেতা ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু। ঈদকে কেন্দ্র করে তারেকের বড় অংকের টাকা চাঁদা চাওয়ার পর ভয়ে আর ফোন ধরছেন না বিএনপির এ দুই নেতা।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, যেকোনো উৎসব এলেই তারেকের চাঁদাবাজি শুরু হয়ে যায়। নানা অজুহাতে দলের নেতাদের কাছ থেকে বড় অংকের চাঁদা দাবি করেন তিনি। এবারের ঈদেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। গত ৬ জুলাই মির্জা আব্বাস এবং আবদুল আউয়াল মিন্টুকে ফোন দিয়ে লন্ডনে বড় অংকের টাকা পাঠাতে বলেন। এরপর থেকে আতঙ্কে আছেন এ দুই ব্যবসায়ী।
মির্জা আব্বাসের ঘনিষ্ঠ এক নেতা বলেন, আমাদের আব্বাস ভাই তো সবসময়ই দলের জন্য চাঁদা দেন। তার দেওয়া এত টাকা কোথায় খরচ হয় সেটাও কেউ জানে না। কিন্তু এখন দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব। ব্যবসা কম হচ্ছে তার। আর প্রতিবছর ঈদে এত টাকা কেন লাগবে বুঝতে পারছি না। এখন দলের সব নিয়ন্ত্রণ করেন তারেক রহমান। কিছু বলাও যায় না, আবার টাকা দেওয়ার অবস্থাও নেই। তাই ফোন না ধরে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, এ করোনাকালে সবাই যেখানে কোরবানি না দিয়ে টাকা বাঁচিয়ে রোগীদের চিকিৎসায় ব্যয় করার চিন্তা করছেন, সেখানে তারেক সাহেবের এত টাকা দাবির বিষয়টি বোধগম্য নয়।
তিনি আরো বলেন, নেতা হয়ে যদি তারেক রহমান এ ধরনের চাঁদাবাজি করেন, তাহলে বিএনপিতে মানুষ থাকবে কীভাবে? দল ছেড়ে তো সবাই পালাবে। আর তার টাকার লিপ্সা দিন দিন বেড়েই চলছে।