নিউজ ডেস্ক:
প্রকৃতির মধ্যে হারিয়ে যাবার প্রয়াস হিসেবে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি এবং তার আশপাশের প্রবাসীরা জড়ো হয়েছিলেন ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের লেক ফ্যায়ারফ্যাক্স পার্কে। এ উপলক্ষে রবিবার নারী-পুরুষ আর শিশু-কিশোরেরা ভিন্ন এক আমেজে মেতেছিলেন। কোলাহল আর ব্যস্ততার মাঝেও বৃহত্তর ওয়াশিংটনবাসীরা একদিনের জন্য আনন্দ-উল্লাস, গান আর আড্ডায় হারিয়ে গেলেন ফেলে আসা স্বদেশ-স্বজনের কাছে।
রাজনীতির ভেদাভেদ ভুলে শুধুই বাঙালিয়ানার অন্যরকম এ আয়োজেন করেছিল ‘বাংলাদেশ আমেরিকান কালচালার অরগানাইনেজশন অব ডিসি (বাকোডিসি)। আর এটি অনুষ্ঠিত হয় বনভোজন কর্মসূচিকে ঘিরে।
সকাল ১০টায় শুরু হয় নাস্তা দিয়ে এবং এরপরই বারবিকিউ। তা চলে বিরতিহীন দুপুরের লাঞ্চ পর্যন্ত । বারবিকিউতে চিকেন এর সাথে হটডগ আর কর্ণ আমন্ত্রিত অতিথিরা তৃপ্তি সহকারে উপভোগ করেন। আর এ পর্বে বিশেষভাবে সহযোগিতা করেন জহির খান, এজেএম হোসাইন, তালহা রহমান, সামছুদ্দীন মাহমুদ, মুনির হোসেন, দেলওয়ার ও তালেব।
একইসাথে চলে শিশু-কিশোরদের বিভিন্ন খেলাধুলা। পরিচালনা করেন তারিকুল ইসলাম অশ্রু। তাকে সহায়তা করেন নুর মোহাম্মদ লিটন। এর পরই পরিবেশিত হয় দুপুরের মজার খাবার। স্থানীয় কাবাব কিং এর রসনায় পূর্ণ খাবার খেয়ে অতিথিবৃন্দ তৃপ্তির ঢেকুর তোলেন। ভরাপেটে নারীদের হাড়ি ভাঙ্গা ও পুরুষদের রশি টানাটানির মাধ্যমে খেলাধুলা পর্ব শেষ হয়। একইসাথে চলে আকর্ষণীয় পুরস্কারের র্যাফেল ড্র’র টিকিট বিক্রি। এ ড্রতে সহযোগিতা করেন মোঃ ইলিয়াস লিটন। র্যাফেল ড্র’র প্রথম পুরস্কার ‘অ্যাপেল ম্যাকবুক’ স্পন্সর করে যুক্তরাষ্ট্রে আইটির অন্যতম প্রতিষ্ঠান
‘পিপল এ্যান টেক’, ২য় পুরস্কার ৫৫ ইঞ্চি এলডিই টিভি স্পন্সর কওে দেশী বাজার ও কাবাব কিং এবং তৃতীয় পুরষ্কার একটি এইচপি ল্যাপটপ স্পন্সর করে কমনওয়েলথ মর্টগেজ ইনক। লটারীতে প্রথম পুরস্কার লাভ করেন নাছের রহমান। তার হাতে সেটি তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পিপল এ্যান টেকের সিইও ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিফ। দ্বিতীয় পুরষ্কার তুলে দেন বিশেষ অতিথি কাবাব কিং ও দেশী বাজারের স্বত্তাধিকারী মাসুদ রহমান, মোহাম্মদ হোসেন জুনিয়র ও ফারুক আহমেদ। তৃতীয় পুরষ্কার তুলে দেন কমনওয়েলথ মর্টগেজ ইনক এর সিইও তৌফিক মতিন।
সমগ্র অনুষ্ঠানে সাবির্ক সহযোগিতায় ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনীতিক এজেএম হোসাইন, সংগঠনের সভাপতি কাজী এম রহমান, সাধারণ সম্পাদক তালহা রহমান, সিনিয়র সহসভাপতি হারুন ভুইয়া, সহ-সভাপতি মজনু মিয়া, সামছুদ্দীন মাহমুদ, আবদুস সালাম মৃধা, হারুন অর রশীদ, জয়েন্ট সেক্রেটারী তারিকুল ইসলাম অশ্রু, ট্রেজারার মুনির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক নুর মোহাম্মদ লিটন, জয়েন্ট সেক্রেটারী মোহাম্মদ হোসেন জুনিয়র, মুজিবুল হক, শাহরিয়ার রহমান, তৈয়বুর রহমান, হাসান, কবির হোসেন, কামাল পাশা, মোখলেসুর রহমান লিটন, ফিরোজ, কামাল, আরিফ, খোকন, নজরুল, আজিম, নাছির, মুজিব, জসিম, মোস্তফা, জাকির ও কাজী সাজ্জাদ রহমান ইমন।
বিশিষ্টজনদের মধ্যে ছিলেন আবিয়ার সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মাওলা, ধ্রুপদ এর সভাপতি হিরন চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাইর সভাপতি মোহাম্মদ আলম, বিএনপি গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসির চীফ এডভাইজরা জহির আহমেদ, লিয়াকত আলী, নাছের আহমেদ, বাংলা স্কুলের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম চুট্টি, বাকডিসির সহ সভপতি রোকসানা পারভীন ও মোহাম্মদ মোস্তফা, বিআইসি প্রেসিডেন্ট মকবুল আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান, ডেমোক্রেট নেতা আনিস আহমেদ ও ডঃ হুমায়ুন খালেদ।