আজ সোমবার (২৬ রজব) দিবাগত রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পালন করবেন পবিত্র শবেমেরাজ। শবেমেরাজ অর্থ ঊর্ধ্ব গমনের রাত। ইসলামি ঐতিহ্যে এই রাতটি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্য এক বিশেষ সম্মান ও আধ্যাত্মিক যাত্রার স্মারক। নবুয়তের ১১তম বছরে মহান আল্লাহ নবীজিকে তাঁর সান্নিধ্যে আহ্বান করেন এবং সৃষ্টিজগতের মধ্যে একমাত্র মুহাম্মদ (সা.)-ই আল্লাহর সরাসরি সাক্ষাতের সৌভাগ্য লাভ করেন।
মেরাজের রাতে মহানবী (সা.) আল্লাহর পক্ষ থেকে উম্মতের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজসহ অসংখ্য কল্যাণ বয়ে আনেন। এটি শুধু নবুয়তের অলৌকিক প্রমাণই নয়, বরং মুসলিম উম্মাহর জন্য মহাবিশ্ব জয়ের অনুপ্রেরণা। ইসলামী চিন্তাবিদ ও সুফি সাধকরা শবেমেরাজকে প্রেম, ভালোবাসা এবং আল্লাহর প্রতি নিবেদন ও প্রশান্তির অন্যতম নিদর্শন বলে অভিহিত করেন।
নবুয়ত লাভের ১১তম বছরটি নবীজির (সা.) জন্য ছিল দুঃখ ও শোকের। এ বছর তিনি প্রিয়তমা স্ত্রী খাদিজা (রা.) ও শ্রদ্ধেয় চাচা আবু তালেবকে হারান। তায়েফে ইসলামের দাওয়াত দিতে গিয়ে তিনি শারীরিক আঘাত ও মানসিক আঘাতের সম্মুখীন হন। এমন দুঃসময়ে আল্লাহ তাঁর প্রিয় রাসুলকে সান্নিধ্য দান করে প্রশান্তি ও মর্যাদায় অভিষিক্ত করেন।
শবেমেরাজ মুসলিম উম্মাহর আত্মমর্যাদার এক বিশেষ উপলক্ষ। এ রাতটি স্মরণে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ, জিকির, দোয়া, দরুদ ও ইবাদতে মগ্ন থাকেন। যদিও শরিয়তে এ রাতের জন্য নির্দিষ্ট কোনো ইবাদত নির্ধারিত নেই, তবু আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও মহানবী (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনের জন্য মুসলিমরা এ রাতে বিশেষ ইবাদতে অংশ নেন।