ডিমের বাজারের চলমান অস্থিরতা দূর করতে আজ থেকে শুরু হচ্ছে সরকারি দামে ডিম বিক্রির কার্যক্রম। আশা করা হচ্ছে রাজধানী পাইকারি দুই বাজারে (তেজগাঁও ও কাপ্তান বাজার) প্রতিদিন ২০ লাখ পিস ডিম সরবরাহ করার মাধ্যমে ডিমের দামে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হবে।
‘বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল’ (বিপিআইসিসি) এ কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করবে। তারা জানায়, ডিম উৎপাদনকারী দেশের অপেক্ষাকৃত বড় খামারগুলো এ ডিম সরবরাহ করবে। প্রাথমিকভাবে ঢাকায় এ কার্যক্রম শুরু করা হবে।
বৃহস্পতিবার ভোর ৪টায় ‘জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর’-এর মহাপরিচালক মো. আলীম আখতার খান রাজধানীর কাপ্তান বাজারে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
সাম্প্রতিক সময়ের পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিজনিত বন্যার কারণে দেশের প্রায় এক-চতুর্থাংশ জেলার পোল্ট্রি খামারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দৈনিক প্রায় ৬০-৭০ লাখ ডিমের উৎপাদন কমে যায়; ফলশ্রুতি চাহিদা ও জোগানের মাঝে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হয়। দেশের এ সংকটকালীন সময়ে একটি মহল অতিরিক্ত মুনাফা লোটার চেষ্টা করলে ডিমের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়।
দেশ ও মানুষের বৃহত্তর স্বার্থে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একাত্ম হয়ে পোল্ট্রি শিল্পের কেন্দ্রীয় সংগঠন ‘বিপিআইসিসি’ আগামী ১৫ দিনের যে বিশেষ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে তাতে খামার থেকে প্রতিটি ডিম ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ১২ টাকায় পাওয়া যাবে।
ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আলীম আখতার খান বলেন, এই উদ্যোগে কমে আসবে মধ্যস্বত্বভোগীর দৌরাত্ম্য। আর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আশা বাজার স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরে আসবে।