নিউজ ডেস্ক:
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হতে যাচ্ছে ‘বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ’।
আজ ২ অক্টোবর থেকে শুরু হবে এ সপ্তাহ। চলবে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত। শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষ থেকে এই সপ্তাহ উদযাপন করা হবে।
রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে এই বিনিয়োগকারী সপ্তাহের অনুষ্ঠানমালা। আজ সোমবার বিকেল ৪টায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মহিত এর উদ্বোধন করবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন। বিশেষ অতিথি থাকবেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. ইউনুসুর রহমান।
এদিন সব বিভাগীয় শহরে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ৩, ৬ ও ৭ অক্টোবর শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ, বিশ্ববিদ্যালয়, পেশাজীবি প্রতিষ্ঠানসমূহে সভা, সেমিনার ও ওয়ার্কশপ এবং ৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে কনফারেন্স ও বিনিয়োগ শিক্ষা মেলা। প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান এতে উপস্থিত থাকবেন। প্রথম সেশনে বিনিয়োগ শিক্ষা ও বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা এবং দ্বিতীয় সেশনে বিনিয়োগ ও সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা হবে।
৫ অক্টোবর বিভিন্ন বিনিয়োগ পণ্য ও খাত এবং শেয়ারবাজার ও বিনিয়োগকারীদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। ৮ অক্টোবর বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার এই বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ পালনের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএসইসি। এ সময় সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম জানান, গুজব ও অনুসরণভিত্তিক বিনিয়োগ করলে ভবিষ্যৎ মুনাফা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এমনকি বিনিয়োগ করা অর্থ ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়। তাই বিএসইসি দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
তিনি জানান, আইওএসসিও-এর ঘোষিত ‘বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ-২০১৭’ বাংলাদেশে যথাযথভাবে পালন করা হবে। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমকে তুলে ধরার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সবার সহায়তায় এই কার্যক্রমকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমকে সফলভাবে দেশের বিনিয়োগকারী ও জনগণের দোরগোঁড়ায় পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে এমন আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে অর্থনীতি ও বিনিয়োগের বিভিন্ন দিক বিনিয়োগকারীরা বুঝতে সক্ষম হবেন। বিনিয়োগকারীরা সচেতন এবং গুজব ও প্রলোভন থেকে সাবধান থাকবেন। এ সংস্কৃতি গড়ে তোলা বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য।