নিউজ ডেস্ক:
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ২ শতাংশ হলেও তা ছাড়িয়ে যাবে বলে আমি আশা করছি।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে দুটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের চেক গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
এ সময় অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইফতিখার-উজ-জামান, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম শেফাক আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের জন্য ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ১৮৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ১০০ কোটি টাকার লভ্যাংশের চেক অর্থমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এবারের সুবিধা পাচ্ছি দেশের স্বার্থে। ২০১৫-১৬ থেকে এ পর্যন্ত দেশ ভালোই চলছে। মানুষ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে এত ব্যস্ত, আমার মনে হয়, কেউ আর কোনোদিন হরতাল ডাকবে না এই দেশে। কারণ, আমাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণ হচ্ছে।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, মানুষের দারিদ্র্য কমানো গেলে উৎপাদন-চাহিদা ও প্রবৃদ্ধি বাড়বে। এটি বাংলাদেশে আরো অন্তত ১০ বছরের মতো চলবে।
তিনি আরো বলেন, ২০১৬ সালটা ভালোই গেছে, কোনো হরতাল হয়নি। সবাই অর্থনীতি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। আমরা এ সময়ে মধ্যম আয়ের দেশ হতে চেয়েছিলাম। হয়ে গেছি। স্বীকৃতি পাব ২০২৪ সালে। ভারতের উন্নয়ন ওঠা-নামা করে। আমাদের সেরকম আপ-ডাউন নাই।
অর্থমন্ত্রী বলেন, লভ্যাংশ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিটিআরসি নতুন খাত। ফোর জি তরঙ্গ নিলামের মাধ্যমে এ বছর একটা বড় আয় হবে। টেলিকম কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে অনেক টাকা আয় করবে। চলতি অর্থবছরের মধ্যে না হলেও পঞ্জিকা বছরের মধ্যে এই নিলাম হবে। ইন্স্যুরেন্স খাতে এখন বড় ধরনের ব্যবসা হচ্ছে। আমরা আশা করব, অন্যান্য ব্যবসার মতো এর প্রবৃদ্ধি আরো বাড়বে।