নিউজ ডেস্ক:
আগামীকাল ১১ মে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে। শাবান মাসের ১৫তম রাতে (১৪ শাবান দিবাগত রাত) শবে বরাত পালিত হয়। সে হিসেবে আগামী ১১ মে দিবাগত রাতই শবে বরাতের রাত। শবে বরাতের পরের দিন বাংলাদেশে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি। এবার এ ছুটি পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারে।
শাবান মাস শেষেই মুসলমানদের সবেচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদের আনন্দ বারতা নিয়ে শুরু হয় সিয়াম সাধনার মাস রমজান। ‘লাইলাতুম মুবারাকাহ’ দ্বারা অনুসরনীয় মুফাসসিরীনে কিরাম উনারা শবে বরাতকেই বুঝিয়েছেন।
বিশ্ববিখ্যাত ও সুপ্রসিদ্ধ তাফসীর, তাফসীরুল খাযিন এর ৪র্থ খন্ডের ১১২ পৃষ্ঠায় আরো উল্লেখ আছে- “নিশ্চয়ই আমি এক বরকতময় রাত্রিতে উহা অর্থাৎ পবিত্র কুরআন শরীফ অবতীর্ণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে লাইলাতুম মুবারাকা দ্বারা অর্ধ শা’বান তথা ১৫ই শা’বানের রাতকে (শবে বরাত) উল্লেখ করা হয়েছে। কেননা উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে হাদীছ শরীফ বর্ণিত আছে।
তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি অর্ধ শা’বানের রাতে (১৫ই শা’বান রাতে) পৃথিবীর নিকটতম আকাশে অবতরণ করেন, অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি ওই রাতে বনী ক্বলব গোত্রের বকরীর পশমের সংখ্যা পরিমাণ অধিক সংখ্যক বান্দাদেরকে ক্ষমা করেন। এই হাদীছ শরীফখানা হযরত ইমাম তিরমিযী রহমতুল্লাহি তিনি বর্ণনা করেন।