ব্যক্তি আক্রোশ বলে জানালেন আইলহাঁস ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড. আব্দুল মালেক
নিউজ ডেস্ক:আলমডাঙ্গার আইলহাঁস ইউনিয়নে বাড়িঘর ভাংচুর ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার উপজেলার সোনাতন গ্রামে দুপুর ১২টার দিকে রাস্তার পাশে ঝোড় পরিষ্কার কর্মসূচি উদ্বোধনের পর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এই ভাংচুরের ঘটনাটি ঘটেছে বলে স্থানীয় অনেকে না প্রকাশ করার শর্তে সাংবাদিকদের কাছে এই দাবি করেছে। তবে এই ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানায় কোন অভিযোগ হয়নি। তাছাড়া ঘটনাটি ষড়যন্ত্রমূলক বা ব্যক্তি আক্রোশ বলে জানিয়েছেন আইলহাঁস ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড. আব্দুল মালেক।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলায় প্রত্যন্তঞ্চলের জনপদে ডাকাতি, ছিনতাই ও চুরির ঘটনা কমাতে এবং সড়কগুলোই পরিবেশ ও সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করতে জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদের উদ্যোগে গতকাল শনিবার আইলহাঁস ইউনিয়ন পরিষদে সরকারি রাস্তার পাশের ঝোড় পরিষ্কার কর্মসূচির উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ। এসময় অতিথি হিসেবে পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম উপস্থিত ছিলেন।
কর্মসূচি উদ্বোধন শেষে অতিথিরাসহ প্রশাসন কর্মকর্তারা চলে গেলে ইউনিয়নের বিভিন্ন অঞ্চলের রাস্তা পরিষ্কারের নামে বাড়িঘর ভাংচুর ও মারধর করে সোনাতন গ্রামের মৃত মাহমুদ জোয়ার্দ্দারের ছেলে মজিবর, মৃত ইছাহকের ছেলে আব্দুল হাই, আইতাল ম-লের ছেলে করিম, সাজাহানের ছেলে জাহাঙ্গীর, সেলিমসহ অজ্ঞাত প্রায় ১শ’ লোকজন মহড়া দিয়ে কিছু ব্যক্তির মালিকানাধীন বাড়িতে তা-ব চালিয়েছে বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন। তবে অভিযোগকারিরা সাংবাদিকদের কাছে নাম প্রকাশ করতে অপরাগতা প্রকাশ করেছেন এবং তাদের বক্তব্য রেকর্ড নিতে গেলে অভিযোগকারিরা অজানা ভয়ে সাংবাদিকদের এড়িয়ে গেছেন।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে কয়েকজন প্রত্যাক্ষদর্শী জানান, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সোনাতন গ্রামে ঝোড় পরিষ্কারের নামে মৃত সাদেক আলীর ছেলে আসাদুলের গোয়াল ঘর ভাংচুর করে এবং তার ভাই সাইফুলের বাড়িতে বৈদ্যুতিক মিটার ও তার কেটে দেয়। পরে সাদেক আলীর ছোট ছেলে সেলিম বাধা দিলে তাকে মারধর করে। এসময় সেলিম নিজ ঘরের মধ্যে দরজা বন্ধ করে নিজের আত্মরক্ষা করে। এছাড়াও একই গ্রামের মৃত জেহের ম-লের ছেলে মজনু, মৃত লাল মাহমুদের ছেলে বেল কালামের বাড়ির সামনের গলির রাস্তার মালিকানা জমিতে গাছ কাটাসহ বেড়া ভাংচুর ও গৃহকর্তাদের মারধর অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে, বাড়িঘর ভাংচুর ও মারধরের ঘটনায় কয়েকজন আইলহাঁস ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড. আব্দুল মালেককে এই ঘটনার নির্দেশদাতা বললেও ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড. আব্দুল মালেক বিষয়টি ষড়যন্ত্রমূলক বলে আখ্যা দিয়েছেন।
এবিষয়ে আইলহাঁস ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনাটি সত্য নয়। কিছু মানুষ ব্যক্তি আক্রোশের কারণে আমার বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগ তুলেছে। তিনি আরো বলেন, রাস্তার পাশে যেসব বেড়া ছিলো তা মানুষের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছিলো তাই কিছু বেড়া ভেঙে দেয়া হয়েছে।
আলমডাঙ্গার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, আলমডাঙ্গার আইলহাঁস ইউনিয়নের সোনাতন গ্রামে যে ঘটনাটি ঘটেছে এ রকম কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। তাছাড়াও এখনো পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।