নিউজ ডেস্ক:
প্রধান বিচারপতির নাম উল্লেখ না করে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম সংসদে বলেছেন, আইন বিভাগ সংবিধান উপহার দিয়েছে, বিচার বিভাগ দেয়নাই। আইন বিভাগ নিয়ে বিচার বিভাগের যে এতো কথা-বার্তা, উনি (প্রধানবিচারপতি) এতকথা বলছেন কিসের জন্য বলছেন আমি জানি না। উনি বলছেন দেশে আইনের শাসন নেই, বিচার বিভাগ স্বাধীন নয়- এমন মন্তব্যে আমাদের জনগনের মনে অনাস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। সুতরাং এই জিনিসগুলো নিরীক্ষা করে প্রধানমন্ত্রীকে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি স্থগিত করার অনরোধ জানান তিনি।
গতকাল জাতীয় সংসদের ১৫ম অধিবেশনে বাদ মাগরিব পয়েন্ট অব ওর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ফখরুল ইমাম বলেন, এখানে লিডার অব দ্যা হাউজ হলো আইন বিভাগের সর্বোচ্চ ব্যক্তি। এবং উনি নির্বাহী বিভাগের প্রধান। দুইটা বিভাগের প্রধানই এখানে আছেন। সুতরাং বিচার বিভাগের যে এতো কথা-বার্তা, এতকথা বলছেন কিসের জন্য বলছেন আমি জানি না। আমার দেখেছি, এখানে একসময় উপজেলা চেয়ারম্যান ছিল, একদিন ইউএনও বললেন উনারা মন্ত্রী স্ট্যাটাস চায়। এখন যদি বিচার বিভাগ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মর্যাদা চায় সেটা আমি জানি না কিভাবে উনি দেবেন। আপনি যদি পারেন এই সংসদ উনাকে দিতে পারেন, তারপরে যদি উনি শান্ত হন। এতে কিছু বলার নাই। তিনি আরো বলেন, উনি কখনও বলেছেন রাষ্ট্রপতিকে ভুল বুঝানো হয়, প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বুঝানো হয়, তারপর নিজেই বলেছেন বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপ হচ্ছে। বিচার বিভাগ স্বাধীন নয়, দেশের আইনের শাসন নেই। সুতরাং এই জিনিসগুলো নিরীক্ষা করে প্রধানমন্ত্রী যদি আলোচনার মাধ্যমে স্থগিত করেন তাহলে দেশ ও জনগণের জন্য উপকৃত হবে।
ফখরুল ইমাম বলেন, আসলে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলতে চাই দেশে এখন আতঙ্ক এবং খোলের একটা কিছু ব্যবস্থা চলছে। আমরা ভেবেছিলাম প্রধানমন্ত্রী আইন বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ এবং বিচার বিভাগে যে ব্যবস্থাপনা উনি দিয়েছেন। এরপর এব্যাপারটি নিয়ে আর কেউ কথা বলবে না, হবে না। কিন্তু দু:খের বিষয় এরপরেও এটা নিয়ে দেশে আলোচনা হচ্ছে। এটা এমন একটা জিনিস মানুষের মধ্যে আস্থাটা হারিয়ে ফেলে। আমি মনে করি কেউ কেউ বলে, এই পার্লামেন্ট সংবিধান উপহার দিয়েছে। এখানে আইন পাস হয়। এখন কেউ কেউ বলেছেন বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপ। বিচার বিভাগ স্বাধীন না, দেশে আইনের শাসন নেই। এটা কারা বলেছেন কিভাবে বলেছেন আমি জানি না। সরকারের উচিত এগুলোকে দেখা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ এবং নির্বাহী বিভাগ এই তিনটা স্তম্ভ আমাদের। কিন্ত এখানে আর একটু যোগ করতে চাই। এই পার্লামেন্টের অগ্রাধিকারটা কি? আসলে অথরিটি টা কি? যারা তৈরি করতে পারে এবং ভাঙতে পারে তার কাছেই অথরিটি। যে হায়ার করতে পারে, ফায়ার করতে পারে তার কাছেই অথরিটি।
তিনি আরো বলেন, যদি আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ এবং নির্বাহী বিভাগকে সমান করেন তাহলে আমাদের প্লাস পয়েন্ট অনেক। আইন বিভাগ আইন পাস করে। এজন্য আমাদের একটি প্লাস পয়েন্ট, দ্বিতীয় প্লাস পয়েন্ট এই সংসদ তাদের ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচন করে, যিনি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তি। আর এই সংসদে সংখ্যা সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের প্রধানকে নির্বাহী বিভাগের প্রধান করেন। আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ আমরা তিন পয়েন্ট এগিয়ে আছি।