নিউজ ডেস্ক:
সৌন্দর্য, স্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু—সব ক্ষেত্রেই উপকারী খাদ্য হিসেবে বিবেচিত হলো ফলমূল। ডায়েটিশিয়ানরাও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এবং মেদ কমাতে ফল খাওয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তবে অনেকেই আছেন যারা অ্যাসিডিটির দোহাই দিয়ে ফল খাওয়া এড়িয়ে চলেন। এটা একেবারেই ঠিক নয়। কারণ প্রত্যেক মানুষের সুস্থতার জন্যই ফল খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। তবে নিয়ম মেনে ফল না খেলে উপকারের চেয়ে বরং ক্ষতি হয় বেশি। তাই ক্ষতি এড়াতে সঠিক নিয়ম মেনেই ফল খান। এতে অ্যাসিডিটির সমস্যা এড়ানোর পাশাপাশি ওজনও কমবে। ফল খাওয়ার সঠিক নিয়ম-
মেনন মেলন জাতীয় ফলের (বাঙ্গি) সঙ্গে আর কোন ফলই খাওয়া উচিত নয়। এ জাতীয় ফলে জলের পরিমাণ বেশি থাকায় তা তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায়। যে কারণে অন্য কোন ফল তরমুজ, খরমুজ, ফুটি জাতীয় ফলের সঙ্গে খেলে তা হজম হয় না।
অ্যাসিডিক ও মিষ্টি ফল স্ট্রবেরি, কমলালেবু, বেদানা, পিচ বা আপেলের মতো অ্যাসিডিক ফলের সঙ্গে কলা, কিসমিস জাতীয় মিষ্টি ফল খাওয়া এড়িয়ে চলুন। দু’ধরনের ফলে পিএইচ মাত্রা আলাদা হওয়ার কারণে হজমে সমস্যা হয়। এর ফলে অ্যাসিডিটি, বমি পাওয়া, মাথা যন্ত্রণার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
ফল ও সবজি ফল ও সবজি হজম হওয়ার ধরন আলাদা। ফল অনেক তাড়াতাড়ি হজম হয়। বেশিরভাগ ফল পাকস্থলীতে পৌঁছনো মাত্রই হজম হয়ে যায়। আবার ফলের মধ্যে শর্করার মাত্রা বেশি থাকার কারণে তা সবজির পরিপাকেও বাধা দেয়। ফলে বুক জ্বালা, অ্যাসিডিটির সমস্যা হয়। যে কারণে কমলালেবু ও গাজর এক সঙ্গে খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে।
স্টার্চ ও প্রোটিন স্টার্চ জাতীয় ফল খুবই কম রয়েছে। যেমন কলা। কিন্তু কর্ন, আলু, বাদাম স্টার্চ জাতীয় সবজি। প্রোটিন জাতীয় ফল ও সবজির সঙ্গে স্টার্চ জাতীয় ফল ও সবজি মেশাবেন না। কিসমিস, পেয়ারা, পালংশাক, ব্রকোলি প্রভৃতি প্রোটিন জাতীয় ফল ও সবজি। কারণ প্রোটিন হজম করার জন্য শরীরের অ্যাসিডিক বেস প্রয়োজন, আবার স্টার্চ হজম করার জন্য ক্ষারক বেস প্রয়োজন। তাই দুই জাতীয় খাবার এক সঙ্গে খেলে হজমে সমস্যা হয়।
আরও করণীয়-
# এক সঙ্গে কখনও ৪-৬টার বেশি ফল খাবেন না।
# খুব বেশি প্রোটিন খেয়ে ফেললে পরদিন সকালে পেঁপে খান। এর মধ্যে থাকা প্যাপেইন প্রোটিন হজমে সাহায্য করবে।
# যদি বেশি লবণ খেয়ে ফেলেন তাহলে পরদিন সকালে জলযুক্ত ফল খান। যা শরীর থেকে লবণ বের করে দিতে সাহায্য করবে।
# খুব বেশি কার্বোহাইড্রেট খেয়ে শরীর ভারি লাগলে পরদিন সকালে আপেল খান। কারণ আপেলের মধ্যে থাকা জটিল কার্বোহাইড্রেট হজম করতে বেশি এনার্জি প্রয়োজন। যা পাস্তা বা ম্যাগির মতো ভারি কার্বোহাইড্রেট থেকে হওয়া ব্লটিং কমাতে সাহায্য করবে।