নিউজ ডেস্ক:
প্যারালাইজডে অচল ভাইকে চিকিৎসার কথা বলে রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে আপন ভাইকে ফেলে রেখে লাপাত্তা চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার বুলাচৌ গ্রামের ওয়ালী উল্লাহ মজুমদারের ছেলে গফুর মজুমদার।
চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার বুলাচৌ গ্রামের ওয়ালী উল্লাহ মজুমদারের ছেলে আব্দুল মোতালেব সপ্তাহখানেক আগে হঠাত প্যারালাইজড হয়ে অচল হয়ে পড়েন। বড় ভাইকে চিকিৎসার কথা বলে ছোট ভাই আব্দুল গফুর এবং তার ভগ্নিপতি মিলে ৩ জুলাই সন্ধার দিকে এক পাকিস্তানী টেক্সি ড্রাইভারকে দিয়ে রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাসের পাশে ফেলে রেখে যান।
দূতাবাসের কর্মীরা মোতালেব বাংলাদেশি জানতে পেরে তাকে ভেতরে নিয়ে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেন। তারা পর্যায়ক্রমে আব্দুল মোতালেবের পরিচর্চা, চিকিৎসাসহ যাবতীয় দেখাশুনার ব্যবস্থা করে কফিলের (স্পন্সর) ঝামেলা নিষ্পত্তি করে দেশে ফেরত পাঠানোর পক্রিয়া করছেন বলে জানা গেছে।
আক্ষেপ করে আব্দুল মোতালেব বলেন, আমার খরচ দিয়ে ছোট ভাই গফুরকে এখানে এনেছি। দুইমাস আগেও যারা আমার খুব কাছে ছিলো আজকে আমার এই দুরবস্থার সময় তারা আমাকে ফেলে রেখে চলে গেছে। এই দুঃখ রাখার জায়গা কোথাও নাই।
দূতাবাসের পক্ষ থেকে গফুর রবং তার ভগ্নিপতির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা মোতালেবকে সহযোগীতা করতে অস্বিকৃতি জানান। এমনকি দূতাবাসকে আব্দুল মোতালেবের বিষয়ে তথ্য দিতেও অস্বীকৃতি জানান।
এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর (শ্রম) সারওয়ার আলম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, মোতালেবের পরিচর্চা করার জন্য একজনকে নিয়োজিত করা হয়েছে। তার এক্সিট ভিসা হয়ে গেছে। মোতালেব কফিলের (স্পন্সর) কাছে কিছু বকেয়া পাওনা ছিলো দূতাবাসের সহযোগিতায় শ্রম আদালতে করা মামলায় মোতালেবের পক্ষে রায় এসেছে। ওই টাকা পেলে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই তিনি দেশে ফিরতে পারবেন বলেও জানান সারওয়ার আলম।