নিউজ ডেস্ক:
একমুঠো বাদামই রোগমুক্তির চাবি। হৃদরোগ, ক্যানসার প্রতিরোধে বাদাম যেন পথ্য। বিশেষজ্ঞদের দাবি, অকালে মৃত্যু এড়াতে বাদামের বিকল্প নেই। ওজন বেড়ে যাওয়ারও ভয় নেই।
ভিক্টোরিয়ার ঘাস হোক বা আউট্রাম ঘাট, প্রেমবেলায় চিনাবাদামের স্থান অমলিন। প্রেম এবং চিনাবাদামের অটুট সম্পর্ক। মেলা হোক বা শীতের চিড়িয়াখানা, বাদাম ভাজার টান টানটান। কিন্তু বাদামভাজা খেতে খেতে আমরা কি কখনও ভেবেছি, বাদামের অশেষ গুণের কথা?
লন্ডনের ইম্পিরিয়াল কলেজ ও নরওয়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা বলছেন, ক্যানসারের সঙ্গে লড়তে অশেষ ক্ষমতা ধরে একমুখো বাদাম। শরীরে ক্যানসারের বৃদ্ধি ঘটতে দেয় না। ক্যানসার কোষকে ধ্বংস করে। বিশেষ করে স্তন এবং প্রস্টেট ক্যানসার এবং শরীরে টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমিয়ে দেয়।
খেতে যতই ভাল লাগুক, ওজন বাড়ার ভয়ে কিন্তু অনেকেই বাদাম থেকে দূরে থাকেন। বাদামে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাট। খুব বেশি বাদাম খেলে ক্যালোরি বাড়ার সম্ভাবনা থাকেই। তবে সেই সম্ভাবনাকে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে নরাজ বিশেষজ্ঞরা।
তাদের দাবি, দিনে ২০ গ্রাম বাদাম খেলে হৃদরোগের সম্ভাবনা প্রায় ৩০ শতাংশ কমে যায়। ক্যানসারের সম্ভাবনা কমে ১৫ শতাংশ এবং অকালমৃত্যুর সম্ভাবনা কমায় ২২ শতাংশ। ফুসফুসের সমস্যা ও ডায়াবেটিসে মৃত্যুর সম্ভাবনা কমিয়ে দেয় প্রায় ৪০ শতাংশ।
গবেষকরা জানাচ্ছেন, আখরোট, চিনাবাদাম, কাঠবাদাম ছাড়াও ব্রেড নাটস, ব্রাজিল নাটস, ক্যান্ডেল নাটস, টেস্ট নাটস, ক্যাসিউ নাটস, কোলা নাটস, পাইন নাটসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ম্যাগনেশিয়াম, পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। যা কার্ডিওভাসকুলার রোগের সম্ভাবনা কমায়, কোলেস্টেরলের মাত্রা সঠিক রাখে। আখরোটে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস থাকে, যা ক্যানসারের প্রতিরোধক হিসাবে দারুণ কাজ করে।