২৬ বছর বয়সী হাফেজের এটি তৃতীয় অলিম্পিক। প্রথম ম্যাচে আমেরিকান নাম্বার ১০ এলিজাবেথ তারতাকোভস্কিকে ১৫-১৩ ব্যবধানে হারিয়েছেন। তবে শেষ ষোলোয় দক্ষিণ কোরিয়ার জিওন হাইওংয়ের কাছে ১৫-৭ ব্যবধানে হেরে যান তিনি। তার পরেই ইনস্টাগ্রামে জানান গর্ভের ছোট্ট অলিম্পিয়ানের কথা, ‘আপনাদের কাছে মনে হয়েছে পোডিয়ামে দুজন খেলোয়াড়। আসলে সেখানে ছিল তিনজন! একজন আমি, আরেকজন প্রতিপক্ষ আরেকজন হলো আমার সন্তান, যে এখন পৃথিবীতে আসার অপেক্ষায়।’
শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিলেও নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে গর্ববোধ করছেন হাফেজ। গর্ভে সন্তান নিয়ে লড়তে পারাতেই তার যত আনন্দ, ‘আমি ও আমার সন্তান ন্যায্য চ্যালেঞ্জটা জানাতে পেরেছি। সেটা মানসিক ও শারীরিকভাবে। যা ছিল গর্বের। গর্ভাবস্থার এই রোলারকোস্টার যাত্রা সত্যিই কঠিন। কিন্তু জীবন ও খেলাধুলার ভারসাম্য রাখতে এই লড়াই কোনও অংশেই কম শ্রমসাধ্য ছিল না। বলা যায় ছিল মূল্যবান। ভাগ্যবান যে আমার স্বামী ইব্রাহিম ইহাব ও পরিবারের আস্থা অর্জন করতে পেরে এতদূর আসতে পেরেছি।’