নিউজ ডেস্ক:
১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রস্তাবের বিরোধিতা করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, অর্থমন্ত্রী ভ্যাট আরোপ করেছেন গণহারে। পৃথিবীর ইতিহাসে এক বছরে ৩০ শতাংশ বাড়তি ভ্যাট আহরণের নজির নেই। এটা কোন ভাবেই যৌক্তিক নয়। তিনি বলেন, বাজেট নিয়ে সারাদেশে আলোচনার ঝড় চলছে। অর্থমন্ত্রী কী কারণে কার স্বার্থে ব্যাংক হিসাবে আবগারি শুল্ক করেছেন জানা নেই। আবগারি শুল্ক আগের অবস্থায় রাখার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী বলেছেন, এটা নির্বাচনী বাজেট নয়। তাহলে মাননীয় অর্থমন্ত্রী কবে নির্বাচনী বাজেট দেবেন? আগামী বাজেট কার্যকর হবে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে। তখন বর্ষা শুরু হবে। সেপ্টেম্বরে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় গেলে, অক্টোবরে নির্বাচনের তফসিল। সেক্ষেত্রে এবারই নির্বাচনমুখী বাজেট করা উচিত ছিল। তাহলে বলা যায়, অর্থমন্ত্রী এবার নির্বাচন বিরোধী বাজেট করেছেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বাজেট অধিবেশনে গতকাল বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যাংক খাতে লুটপাটের অভিযোগ এনে হানিফ বলেন, বেসিক ব্যাংককে এক হাজার কোটি টাকা মূলধন দেওয়া হচ্ছে। কার টাকা কেন দিচ্ছেন? তারা দুর্নীতির জন্য লুটপাট করবে আর মূলধন দিতে হবে আমাদের? প্রয়োজনে এ ব্যাংকগুলোর বিষয়ে নতুন করে চিন্তা করা হোক। সরকারি টাকা এভাবে লুটপাট করতে দেওয়া যাবে না। তিনি আরো বলেন, হলমার্কের চারহাজার কোটি টাকা দুর্নীতির পর অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন- এ টাকা কিছু নয়। তাহলে কেন সামান্য টাকার জন্য সারাদেশে মানুষের মধ্যে আক্ষেপ তৈরি করলেন। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বার, আদালতের সরকারি কুশলী, সহকারী কুশলীদরে ভাতা বাড়ানোর দাবি জানান।