নিউজ ডেস্ক:
শ্রমঘন শিল্প হিসেবে শিপ রিসাইক্লিং কর্মসংস্থান ও আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
তিনি বলেন, দেশের স্টিল ও রি-রোলিং কারখানাগুলোর অধিকাংশ কাঁচামাল এ শিল্পখাত থেকে আসছে। ইতোমধ্যে শিপ রিসাইক্লিং শিল্পখাতে কর্মরত শ্রমিক ও কর্মপরিবেশের উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর রেডিসন হোটেলে শিল্প মন্ত্রণালয় বাস্তবায়িত ‘নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব জাহাজ রিসাইক্লিং’প্রকল্পের সমাপনী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব থেকে পরিবেশ সুরক্ষায় বর্তমান সরকার সবুজ শিল্পায়নের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নের সুফল পেতে সরকার উদ্যোক্তাদের মানসিকতা পরিবর্তনেও কাজ করে যাচ্ছে। সবুজ প্রবৃদ্ধি ও সবুজ অর্থনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালে শিপ রিসাইক্লিংকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এর আলোকে শিল্প মন্ত্রণালয় নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব জাহাজ রিসাইক্লিং শিল্প প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ ও শ্রম নিরাপত্তা ইস্যুতে বাংলাদেশের শিপ রিসাইক্লিং শিল্পের বিষয়ে বিতর্ক থাকলেও বর্তমানে এখাতে উদাহরণ সৃষ্টি করার মতো শিল্প গড়ে উঠেছে। এসব শিল্প দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইন-কানুন এবং গুণগতমান অনুসরণ করছে।
শিপ রিসাইক্লিং শিল্পখাতের স্বার্থে নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব জাহাজ রিসাইক্লিং প্রকল্প সম্প্রসারণের প্রতি সরকারের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, প্রকল্পের পরিচালক ও যুগ্ম সচিব বেগম ইয়াসমিন সুলতানা, বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লিকেন, ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের পরিচালক ড. স্টিফেন মিকালেফ প্রমুখ।