নিউজ ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর থেকেই অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর বিধান নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার শীর্ষে ডোনাল্ড ট্রাম্প। বারবারই রাষ্ট্র্রীয় নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের অজুহাত দিয়ে নথিপত্রবিহীন অভিবাসীদের বের করে দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। কিন্তু এই পরিকল্পনা অর্থনৈতিক উন্নয়নের বদলে যুক্তরাষ্ট্রের খরচ বাড়বে প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলার। দেশটির সরকারি নীতিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান আমেরিকান অ্যাকশন ফোরামের (এএএফ) এক পরিসংখ্যানে এমন তথ্যই বেরিয়ে এসেছে।
এএএফ জানায়, নীতি প্রণয়ন, পরিবর্তন, আইনি লড়াই, আইন প্রয়োগ, অবৈধদের আটক এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো সব মিলিয়ে মোট ৫০০ বিলিয়ন ডলারের মতো অর্থ খরচ হবে। প্রায় ২০ বছরের মতো সময়ে পুরো অর্থটি ব্যয় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে গিয়ে মার্কিন বিলিয়নেয়ার ওয়ারেন বাফেট বলেছেন, অভিবাসীরাই যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ‘অলৌকিক’ অর্জন এনে দিয়েছেন। বাফেট বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী বাফেট গত শনিবার অনলাইনে তার শেয়ারহোল্ডারদের কাছে দেওয়া বার্ষিক এক চিঠিতে বলেন, শুরু থেকে আজ পর্যন্ত মার্কিন অর্থনীতির এই অলৌকিক অর্জন খুঁজতে গেলে সেসব মানুষকেই পাওয়া যাবে, যারা নিজেদের দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর সাহস করেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পুরো বিশ্বে তীব্র সমালোচনা, এমনকি নিজ দেশের অঙ্গরাজ্য সরকার ও বিচার বিভাগের কাছ থেকে একের পর এক বাধা ও প্রতিবাদের মুখোমুখি হওয়ার পরও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বারবারই বৈধ নথিপত্রবিহীন অভিবাসীদের বের করে দেওয়ার প্রতি দৃঢ় অবস্থানে রয়েছেন।