নিউজ ডেস্ক:
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘বিদেশে জিয়া পরিবারের কোনো অবৈধ সম্পদ নেই- উল্লেখ করে যে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন, তা পাঠিয়ে লাভ হবে না। বরং সৌদি আরবসহ বিদেশে যেখানে অবৈধভাবে অর্থ পাচার করেছেন তার তদন্ত ও বিচারের জন্য প্রস্তুত হোন।’
আওয়ামী লীগের অন্যতম মুখপাত্র এবং সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বুধবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশ ও মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
‘বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচারের দ্রুত তদন্ত করে গ্রেফতারের দাবিতে সমাবেশ ও মানববন্ধনে’র এই আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট। এতে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ঢাকা বিভাগীয় শাখার সহ-সভাপতি নওশের আলীর সঞ্চালনায় সমাবেশে আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট বলরাম পোদ্দার, স্বাধীন বাংলা বেতারের মনোরঞ্জন ঘোষাল, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা পরিষদের নেতা ব্যারিস্টার জাকির আহমেদ, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের নেতা অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সম্পাদক হাবিবুল্লাহ রিপন প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
ড. হাসান মাহমুদ বলেন, ‘খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমানসহ তাদের পরিবার সৌদি আরবে অর্থ লগ্নি করেছেন। এটা প্রকাশ পাওয়ায় তিনি উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন। বিএনপি নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে এই উকিল নোটিশের কথা বলেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই উকিল নোটিশের কোন হদিস পাওয়া যায়নি। সম্ভবত আকাশের ঠিকানায় এই নোটিশ পাঠিয়েছেন। উকিল নোটিশ পাঠিয়ে লাভ হবে না। বরং সৌদি আরবসহ বিদেশে যেখানে অবৈধভাবে অর্থ পাচার করেছেন তার তদন্ত ও বিচারের জন্য প্রস্তুত হোন।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপার্সন সম্প্রতি তার দলের যেসব নেতা সরকারের সাথে যোগাযোগ রাখেন তা খুজে বের করার উদ্যোগ নিয়েছেন। ভালো উদ্যোগ। কিন্তু কথা হলো- লোম বাচতে গিয়ে দেখা গেল কম্বলই নেই, এই অবস্থা যেন না হয়। দেখা গেল বিএনপিতে আর নেতাই নেই।’
আওয়ামী লীগের অন্যতম এই মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে দুর্নীতির যেসব মামলা চলছে, তা বাধাগ্রস্ত করার জন্য নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। মামলার স্বাভাবিক কার্যক্রমকে ব্যাহত করার জন্য তিনি ক্রমাগতভাবে আদালতকে হেনস্থা করে চলেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ড. হাছান আরও বলেন, বিভিন্ন দুর্নীতির মামলায় হাজিরা দেওয়ার জন্য খালেদা জিয়া যখন আদালতে যান ও ফেরেন, তখন বিএনপির নেতা-কর্মীরা আদালত প্রাঙ্গণ ও রাস্তায় বিশৃংখলার অপচেষ্টা করে। গাড়ী ভাংচুর করে জনগণের শান্তি শৃংখলা বিনষ্ট করে। হয়তো তার দলের নেতা-কর্মীরা আঁচ করতে পেরেছে, এসব মামলায় তার শাস্তি হতে পারে। আর সেজন্যই খালেদা জিয়ার পেট্রোল বোমা বাহিনী ২০১৩ ও ২০১৪ সালের মতো দেশে বিশৃংখলা সৃষ্টির অপচেষ্টা ও ষড়যন্ত্র করছে করছে। ওই সময়ের মতো বিশৃংলা সৃষ্টি করলে জনগণ সমুচিত জবাব দেবে। জনগণ ও সরকার ২০১৩ ও ২০১৪ সালের পরিস্থিতি আর হতে দেবে না। জনগণের জান-মাল ও শান্তি শৃংখলা রক্ষা করার দায়িত্ব সরকারের বলেও হুশিয়ারি দেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
তিনি ৫ জানুয়ারিকে গণতন্ত্র রক্ষা দিবস উল্লেখ করে দলীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক থকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ১২ জানুয়ারি সরকারের বর্ষপূর্তি। আমাদেরকে ৫ জানুয়ারি মাঠে থাকতে হবে। বিএনপি ৫ জানুয়ারিকে সামনে রেখে দেশে কোন শান্তি-শৃংখলা বিনষ্টের অপচেষ্টা করলে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিন।