নিউজ ডেস্ক:
কর্মজীবীরা দিনের বেশিরভাগ সময় অফিসেই কাটিয়ে দেন। তাই দুপুরের খাবারের পর ঘুমে দুচোখ ঢুলুঢুলু করে অনেকেরই। কিন্তু অফিস নিশ্চয়ই ঘুমানোর জায়গা নয়। তাই অফিসে যদি ঘুম পায় তবে ঘুম কাটানোর জন্য কিছু উপায় বেছে নিতে হবে। তাতে ক্লান্তিও দূর হবে আবার ঘুমও কেটে যাবে। চলুন জেনে নেয়া যাক-
কিছুক্ষণ পর পর হাঁটাচলা করুন : অফিসে টানা বসে কাজ করলে কিছুক্ষণ পর একটু ঘুম ঘুম ভাব চলে আসে। তাই কিছুক্ষণ পরপর নিজের সিট থেকে উঠে হাঁটাচলা করুন। এতে আবার কাজ করার আগ্রহ পাবেন এবং ঘুমের ভাবটা কেটে যাবে।
রাতে ভালো করে ঘুমান : রাতে দেরি করে ঘুমানোর অভ্যাস ত্যাগ করুন। যত তাড়াতাড়ি ঘুমাবেন, তত দ্রুত ঘুম থেকে উঠতে পারবেন। রাতে ভালো করে ঘুমালে সারা দিন শরীর ও মন দুটোই প্রফুল্ল থাকবে এবং কাজ করার শক্তি ফিরে পাবেন। আর এর ফলে অফিসে বসে ঘুম পাবে না।
দুপুরে অল্প খাবার খান : আমাদের দেশে দুপুরবেলা ভারী খাবার খাওয়ার চল আছে। অফিসে থাকলেও এর ব্যতিক্রম হয় না। এর ফলে খাওয়ার পরপরই ঝিমুনি ধরে, ঘুম চলে আসে। তাই খুব সামান্য পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে শরীর সুস্থ থাকবে এবং ঘুমও আসবে না।
এক ঘণ্টা পর পর মুখ ধোয়ার চেষ্টা করুন : সারা দিন সতেজ ও কর্মক্ষম থাকার জন্য অন্তত এক ঘণ্টা পর পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে ঘুমের ভাব অনেকটা দূর হবে। ত্বকও ভালো থাকবে, আবার সতেজও লাগবে।
গ্রিন টি খান : কাজের ফাঁকে এক কাপ গ্রিন টি খেতে পারেন। এতে ঘুমের রেশ কেটে যাবে এবং নতুন করে কাজ করার শক্তি পাবেন।
চিনি এড়িয়ে চলুন : চিনি অথবা চিনিজাতীয় যেকোনো খাবারের কারণে বেশি ঘুম পায়। তাই অফিসে যাওয়ার পর এ ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকুন। তাহলে ঘুমে ধরার সম্ভাবনা কমবে।
বিরক্তিকর কাজগুলো কিছুক্ষণ এড়িয়ে চলুন : খাবার খাওয়ার পর বিরক্তিকর কাজগুলো এড়িয়ে চলুন। কারণ, বিরক্তিকর কাজগুলো মানসিকভাবে কাজের প্রতি অনীহা তৈরি করে, যার ফলে কাজ করার উৎসাহ হারিয়ে যায় এবং বারবার ঘুম পায়। এ সময়টাতে আপনার করতে ভালো লাগে এ রকম কাজ করার চেষ্টা করুন। এতে কাজে মন বসবে এবং ঘুম ঘুম ভাব চলে যাবে।
সহকর্মীদের সঙ্গে কিছুটা সময় পার করুন : কাজের ফাঁকে কিছুটা সময় সহকর্মীদের সঙ্গে কাটান। চা খাওয়ার অবসরে বা দুপুরের খাবারের সময় গল্প করুন। শেষ কী ছবি দেখলেন, সেটা নিয়ে আলোচনা করুন; কিন্তু একেবারেই অফিসের কথা বা কাজের কথা তুলবেন না।