শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। গত ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে এর প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছিল।
মূল সুপারিশসমূহ:
১. দুদককে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া।
২. অর্থপাচার ও উচ্চপর্যায়ের দুর্নীতির তদন্তে টাস্কফোর্স গঠন।
৩. স্বার্থের দ্বন্দ্ব প্রতিরোধে নতুন আইন প্রণয়ন।
৪. দুদকের ক্ষমতা অপব্যবহার রোধে আইনি কাঠামোর পরিবর্তন।
৫. দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় কৌশলপত্র প্রণয়ন ও ন্যায়পাল নিয়োগ।
৬. সরকারি সেবা খাতের সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজেশন।
৭. রাজনৈতিক ও নির্বাচনী অর্থায়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ।
৮. দুদকের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি রোধে পৃথক শৃঙ্খলা অনুবিভাগ গঠন।
৯. দুদকের বেতন কাঠামো জাতীয় পর্যায়ের তুলনায় দ্বিগুণ করা।
সুপারিশ অনুযায়ী, দুদকের কমিশনার সংখ্যা তিন থেকে পাঁচে উন্নীত করা, অন্তত একজন নারী কমিশনার রাখা এবং কমিশনারদের মেয়াদ পাঁচ থেকে চার বছর করা প্রস্তাব করা হয়েছে।
এছাড়া, প্রতিটি জেলায় পর্যাপ্ত লজিস্টিক সুবিধাসহ দুদকের কার্যালয় স্থাপন, বিশেষ জজ আদালত প্রতিষ্ঠা এবং অভ্যন্তরীণ কর্মসংস্কৃতি ও ব্যবস্থাপনা সংস্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়ে একাধিক সংস্কার কমিশন গঠন করে। এর অংশ হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন গঠন করা হয় এবং এই সুপারিশগুলো দেওয়া হয়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রস্তাবিত সংস্কার কার্যকর হলে দুদকের সক্ষমতা বাড়বে এবং দুর্নীতি দমনে আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারবে।