শনিবার (৬ জুলাই) সকালে রাজধানীর বাংলামোটরে প্ল্যানার্স টাওয়ারে ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
মেয়র বলেন, বর্ষাকালে রাস্তা খননের জন্য কোনো সংস্থাকে অনুমতি দেবে না জানিয়ে আগেই নোটিশ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এরপর অনুমতি না পেয়ে চুরি করে ওয়াসা ও তিতাস রাস্তা খননের কাজ করছে।
তাপস বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে খালগুলোকে দীর্ঘস্থায়ীভাবে পুনরুদ্ধার করার বিকল্প নেই। সরকারি-বেসরকারি ভূমি দস্যুদের আগ্রাসন যতদিন বন্ধ হবে না, ততদিন জলাবদ্ধতা নিরসন করা সম্ভব নয়। এসব ভূমি দস্যুদের আগ্রাসন দূর করতে পারলে ঢাকা শহর জলাবদ্ধতা মুক্ত হবে। খাল দখলমুক্ত থাকবে।
এ সময় মেয়র বলেন, বংশালে নিকটবর্তী স্থান দিয়ে না করে, দূরবর্তী স্থান দিয়ে নিষ্কাষণ ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে পানি প্রবাহ ধীর হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। আর বক্স কালভার্টের কারণে ধোলাইখাল পুরোপুরি দখলমুক্ত করা যাচ্ছে না। তবে একটি অংশকে নান্দনিক পরিবেশ করার চেষ্টা চলছে।
মেয়র আরও বলেন, আদি বুড়িগঙ্গা দখলমুক্ত করা কঠিন কাজ ছিল। তবে আগামী ৫০ বছরেও আর কেউ দখল করতে পারবে না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত। এ সময় ঢাকার খালগুলোকে সংস্কার করা না হলে জলাবদ্ধতা দূর হবে না বলে মন্তব্য করেন আলোচকরা।
নগর পরিকল্পনাবিদদের মত নিয়ে জিরানি, মান্ডা, কালিনগর ও শ্যামপুর খাল সীমানা চিহ্নিত করে দখলমুক্ত করার কাজ দ্রুত শুরু হবে বলে জানান দক্ষিণের মেয়র।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে দুই সিটি করপোরেশন বুঝে নেওয়ার চার বছর পার হলেও রাজধানীর জলাবদ্ধতার কোনো উন্নতি হয়নি। স্বল্প বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায় বিভিন্ন স্থান।