নিউজ ডেস্ক:
ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেছেন, দেশের উন্নয়নের জন্য রাজস্ব উন্নয়নের ভিতকে মজবুত করতে হবে। সবাইকে অনুরোধ করবো রাজস্ব প্রদান অনীহা প্রকাশ না করতে। আমাদের সবাইকে রাজস্ব আদায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে। গত বুধবার বিকেলে সেগুনবাগিচায় এনবিআর ভবনের সম্মেলন কক্ষে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ধর্মীয় গুরুদের সাথে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অংশীদারিত্ব বিষয়ক মতনিবিময় সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, ধর্মীয় অনুশাসন মানলে রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকের দায়িত্ব আছে। সেই দায়িত্ব পালনে কর দেওয়া উচিত। বর্তমানে দেশে অনুশাসন ফিরে এসেছে। দেশে অন্যায় অবিচার যতটুকু আছে তাও থাকবে না। দেশের উন্নয়নে রাজস্ব আদায় না হলে দেশের উন্নয়ন করা যাবে না।
ধর্মীয় গুরুদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নিজ নিজ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের মানুষকে রাজস্ব প্রদানে উদ্ধুদ্ধ করতে হবে। স্বতঃফূর্তভাবে রাজস্ব আহরণ না হলে দেশ উন্নয়নের দিকে যাবে না।
ধর্মসচিব মো. আবদুল জলিল বলেন, প্রত্যেক ধর্ম রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য রাজস্ব ব্যবস্থাপনাকে সমর্থন করে। রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে প্রতিটি ধর্মের মানুষের নিজ নিজ দায়িত্ব আছে। এনবিআর রাজস্ব সচেতনতার বুকলেট দিলে ধর্ম মন্ত্রণালয় সারাদেশে তা পৌঁছে দেবে।
তিনি আরো বলেন, ধর্মীয় গুরুরা জনগণকে রাজস্ব সর্ম্পকে সচেতন করবেন। মসজিদে খুতবার সময় যাতে রাজস্ব বিষয়ে বলা হয় সেজন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে। নৈতিক দায়িত্ব থেকে ধর্মীয় গুরুরা রাজস্ব বিষয়ে মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগ নিলে অন্তত ১০ লাখ মানুষকে রাজস্বের আওতায় আনা যাবে।
সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, আজ আমরা একা নই্। ধর্ম মন্ত্রণালয় আজ থেকে আমাদের সঙ্গে আছে। আমরা স্বাবলম্বী হবো, নিজের কর নিজে দিবো।
তিনি বলেন, আমরা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কর দিবো। জনগণকেও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে আমাদের উদ্যোগ চলমান রয়েছে। সবাই দেশপ্রেমিক নয়। তাদেরকে প্রতিহত করতে হয়। আমরা আমাদের আইনগতভাবে কাজ করি। এখন ধর্ম মন্ত্রণালয়কে পেলাম এনবিআর আরো শক্তিশালী হলো।
ভ্যাট বিষয়ে নজিবুর রহমান বলেন, ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে আমরা এগিয়ে যাবো। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে কমিটি করে দিয়েছি। ইসলামী ফাউন্ডেশনের আলেমরা বলেন, কর আরোপ করার ক্ষেত্রে শুধু আয়ের বিষয়টি চিন্তা না করে ব্যয়ের বিষয়টি চিন্তা করা উচিত। ইসলামের দৃষ্টিতে শুধু আয় নয় ব্যয়ের বিষয়টি বিবেচনা করে কর ধার্য করা উচিত।
তারা বলেন, কর বিষয়টি ধর্মীয় দৃষ্টিতে বিবেচনা করে এক সঙ্গে বসে ঘোষণা করা উচিত। এদেশের আইন ও ইসলামের দৃষ্টিতে কর কি তা মানুষের সামনে উপস্থাপন করতে হবে। এ সময় ধর্মীয় গুরুরা বলেন, সারাদেশে ৩ লাখ মসজিদ, অসংখ্য মন্দির, প্যাগোডা, চার্জ রয়েছে। এসবের মাধ্যমে কর সংগ্রহে রাজস্ব বার্তা পৌঁছে দিবে। কিন্তু তার জন্য এনবিআর বুকলেট চান তারা। অনুষ্ঠানে রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডার দায়িত্বপ্রাপ্ত ধর্মীয় গুরুরা উপস্থিত ছিলেন।