বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫

৯ এমএম পিস্তল গুলি ও সোনার বার উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় পুলিশের এএসআইসহ ৩ চোরাচালানী বিজিবির হাতে আটক: মামলা দায়ের :

শামসুজ্জোহা পলাশ, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি :

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় পৃথক দুটি অভিযানে ১০ রাউন্ড গুলি ভর্তি ৯ এমএম পিস্তল, ৬ টা সোনার বার, ৬০ কেজি সীসা, একটি ইজি বাইকসহ মোঃ হুমায়ুন কবীর (৩৭) নামে পুলিশের এক এ.এস.আই ও দুই চোরাচালানীকে আটক করেছ বিজিবি। এবিষয়ে সাংবাদিকদের চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবি পৃথক দুটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।

 

তবে, এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানা ও দর্শনা থানায় বিজিবি পৃথক দুটি মামলা করলেও এ.এস.আই মোঃ হুমায়ুন কবীরের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ৯ এমএম পিস্তল ও গুলি সরকারী সম্পদ হওয়ায় তা বাদ দিয়ে তিন জনের বিরুদ্ধে চোরাচালান মামলা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবি অধিনায়ক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান (পিএসসি) পৃথক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানার অন্তর্গত ধান্যঘরা গ্রামের কাঁঠালতলা নামক স্থান থেকে শনিবার (১০ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ৬ বিজিবির ফুলবাড়ী বিওপির টহল কমান্ডার নায়েব সুবেদার মোস্তাফিজুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাড়ীর এএসআই ও নড়াইল জেলার বড়গাতি গ্রামের মৃত আবু বক্করের ছেলে মোঃ হুমায়ুন কবীর (৩৭) ও দামুড়হুদা উপজেলার ধান্যঘরা গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মোঃ জহিরুলকে (৪৮) ব্রাজিলের তৈরী একটি ৯ এমএম পিস্তল, ১০ রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগজিন, ৫৯ কেজি ৮০০ গ্রাম সীসা ও একটি অটোরিক্সাসহ আটক করে। ফুলবাড়ী বিওপির নায়েব সুবেদার মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে বর্ণিত আসামীদের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তবে এএসআই হুমায়ুন কবীরের কাছ থেকে উদ্ধার করা ৯ এমএম পিস্তল, গুলি ও ম্যাগজিন সরকারী সম্পদ হওয়ায় তা মামলার আওতায় আনা হয়নি।

অপরদিকে, আজ রবিবার (১১ অক্টোবর) সকাল ৮ টার দিকে দামুড়হুদার মুন্সিপুর বিওপির টহল দল চোরাচালানী বিরোধী অভিযান চালিয়ে সীমান্তবর্তী কুতুবপুর গ্রামের মাঝপাড়া পাকা রাস্তার উপর হতে ভারত সীমান্তবর্তী মুন্সিপুর গ্রামের মৃত পাথন আলীর ছেলে মোঃ কলিম উদ্দিনকে (৩৮) স্বর্ণ পাচারকারী সন্দেহে আটক করে। পরবর্তীতে আটককৃত কলিমেকে তল্লাসী করলে তার মলদ্বার হতে ০৬ টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ০৬টি স্বর্ণের বারের ৫৭ ভরি ০৫ আনা। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৩৯ লাখ ৫৪ হাজার ৫৬২ টাকা।

একই দিন বিকেলে হাবিলদার মোঃ হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ৬ বিজিবি পরিচালক জানিয়েছেন।

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো আব্দুল খালেক জানান, শনিবার (১০ অক্টোবর) রাত সারে ৯টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির এ এস আই হুমায়ুন কবির সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সীমান্তের সদাবরি রাস্তায় ওৎ পেতে থাকে। এ সময় পুলিশ দেখে মালামাল ফেলে চোরাকারবারি দল পালিয়ে যায়। পরে বাকি পুলিশদের পাঠিয়ে দিয়ে এ এস আই হুমায়ুন কবির ও অটো চালক জহিরুল ইসলাম মালামাল পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসার পথে ফুলবাড়ি টহল বিজিবি হাতে প্রায় ৬০ কেজি সীসাসহ আটক হয়। ফুলবাড়ি বিজিবির টহল কমান্ডার নায়েক মোস্তফিজুর রহমান বাদি হয়ে রোববার দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নম্বর ১৫।

বিজিবির হাতে এএসআই হুমায়ন কবীর আটকের বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আইন সবার জন্য সমান। সে সাধারণ মানুষ হোক কিম্বা পুলিশ, বিজিবি’র সদস্য হোক। অন্যায় অপরাধ করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা। যে পানিতে নামবে তার কাপড়তো ভিজবেই। এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। # #

Similar Articles

Advertismentspot_img

Most Popular