ইসরায়েল ও লেবানন যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে একে অপরকে দোষারোপ করেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, তারা দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর একটি স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। এতে করে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে শুরুতেই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে এই তথ্য।
বৃহস্পতিবারের হামলার বিষয়ে ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা দক্ষিণ লেবাননের বিভিন্ন এলাকায় লোকজনকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। তাদের দাবি, ওই ব্যক্তিরা যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করেছিল।
অন্যদিকে, লেবাননের সেনাবাহিনী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বুধবার ও বৃহস্পতিবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী, হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলি বাহিনী ধাপে ধাপে দক্ষিণ লেবানন থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহার করবে। এরপর লেবাননের সেনাবাহিনী এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী ওই অঞ্চলে মোতায়েন করা হবে।
বুধবার সকালে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে এটি ইসরায়েলের প্রথম আঘাত। লেবাননের নিরাপত্তা সূত্র এবং সংবাদমাধ্যম আল জাদীদ জানিয়েছে, হামলাটি লিটানি নদীর উত্তরে বায়সারিয়া এলাকায় হয়েছে।
হামলার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন হলে সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর ২০২৩ থেকে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে ৩,৯৬১ জন নিহত এবং ১৬,৫২০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া ইসরায়েল দক্ষিণ লেবাননে স্থল অভিযান শুরুর পর থেকে ১২ লাখেরও বেশি লেবানিজ গৃহহীন হয়েছেন।
অন্যদিকে, ইসরায়েল জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর আক্রমণে ইসরায়েলের উত্তরে এবং গোলান মালভূমিতে ৪৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং ৭৩ জন সেনা নিহত হয়েছে।
যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর, অনেকে তাদের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করলেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দক্ষিণ লেবাননের বাসিন্দাদের চলাচলের উপর সন্ধ্যা ৫টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করেছে।