নিউজ ডেস্ক:
শরীরের বয়স বাড়লেও নাকি মনের বয়স বাড়ে না! চির তরুণ আর সবুজ থাকে মন। তবে বার্ধক্যে পা দেয়ার পর কিছুটা হলেও মনের উপর প্রভাব পড়ে। এসময় দেখা দেয় শারীরিক নানা সমস্যা। তাই কিছু বিষয় মাথায় রাখুন। ৪০ বছরের পর থেকেই শরীর সুস্থ রাখতে কিছু বিষয় মেনে চলা জরুরি-
> ৪০ বছর বয়সের পর থেকেই মানুষের শরীরে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে শুরু করে। এসময় সুস্থ থাকতে নিয়মিত ব্লাড প্রেশার এবং ব্লাড সুগার মেপে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। মাসে একবার না হলেও ছয়মাস অন্তর পরীক্ষা করুন। এতে আপনার শরীরের সুস্থতা বজায় রাখতে পারবেন।
> আপনার বয়স বাড়ছে এই বিষয়টি একেবারেই ভুলে যান। এটি নিয়ে যত বেশি দুশ্চিন্তা করবেন ততই মনের উপর চাপ পড়বে। বয়স বেড়ে গেলে অনেকেই অতীত বর্তমান আর ভবিষ্যৎ নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করেন। একেবারেই দুঃখে কাতর হওয়া যাবে না।
> ৪০ এর পর থেকেই চারটি খাবার বাদ দিন। প্রথমেই অতিরিক্ত লবণ খাওয়া বাদ দিন। এরপর চিনি বা চিনি জাতীয় খাবার, দুধের সর বা ক্রিম, স্ট্রাচ বা কার্ব জাতীয় খাবারগুলো খাওয়া বাদ দিতে হবে।
> সব রকমের সবুজ শাক সবজি, শিম বা মটরশুটি,ফলমূল এবং বাদাম বেশি করে এসময় খেতে হবে। এই খাবারগুলো শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পাশাপাশি ভাইরাস এবং বার্ধক্যজনিত রোগ থেকেও দূরে রাখবে আপনাকে।
> বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই মানুষ একাকিত্ব অনুভব করতে থাকে। এজন্য এসময় বন্ধু ও নিজ পরিবারের সঙ্গে বেশি সময় কাটাতে হবে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। সবসময় সুচিন্তা করুন।
> এই বয়সের পর থেকেই অতিরিক্ত ক্ষুধা নিয়ে খেতে যাবেন না কখনো। এমনকি অধিক পিপাসায় কাতর হয়ে পানিও পান করবেন না। অতিরিক্ত দুর্বল হয়ে ঘুমাতে যাওয়া কিংবা বিশ্রাম নেয়া যাবে না। একেবারে অসুস্থ হয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়াসহ এসব বিষয়গুলো এড়িয়ে চলুন এই সময়। তাই সঠিক সময়ে নিয়ম মেনে সব কাজ করতে হবে। এছাড়াও ধার করা কিংবা অতিরিক্ত লোভ করবেন না। অলসতা, ঘৃণা পোষণ করবেন না। সময়ের অপচয় এবং পরচর্চা করা থেকে বিরত থাকুন।
> বয়স ৪০ এর কোঠায় যাওয়ার পর থেকে যে পাঁচটি অভ্যাসে মনোযোগ দিতে হবে- নামাজ পড়া, রোজা রাখা বা নিজ ধর্ম পালনে সময় ব্যয় করুন। সবার সঙ্গে হাসি মুখে কথা বলুন। মানুষের সঙ্গে ভালো আচরণ করার পাশাপাশি নিয়মিত শরীর চর্চা করুন। সেই সঙ্গে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।