২০১৮ সাল হবে বিএনপির নেতৃত্বাধীন সাম্প্রদায়িক অপশক্তির পরাজয়ের বছর : ওবায়দুল কাদের

0
18

নিউজ ডেস্ক:

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ২০১৮ সাল হবে বিএনপির নেতৃত্বাধীন সাম্প্রদায়িক অপশক্তির পরাজয়ের বছর।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে পরাজিত করে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিজয় অভিযানের নবতর অভিযাত্রা আজ থেকে শুরু হলো।
কাদের আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সততা ও সাহসের যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সেখান থেকে ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে শিক্ষা গ্রহন করতে হবে।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রার উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ পরিচালনা করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের রাজনীতির রোল মডেল। ডিজিটাল বাংলাদেশের সার্বিক রূপকার, বিপন্ন মানবতার বাতিঘর, মাদার অব হিউমিনিটি বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা উন্নয়ন ও অর্জনের রোল মডেল। ডিজিটিাল বাংলাদেশের তরুন সমাজের আইডল, বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র, আইসিটি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত সজীব ওয়াজেদ জয় ছাত্রলীগের আইডল।
কাদের বলেন, ছাত্রলীগের সংখ্যাগত পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে। সংখ্যাগত বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রলীগের গুণগত মানও বাড়াতে হবে। কারণ লক্ষ লক্ষ কর্মী থাকার পরও যদি শৃঙ্খলা না থাকে সে সংখ্যাগত বৃদ্ধির কোন সুফল পাওয়া যাবে না। আবার সংখ্যা কম থাকার পরও যদি সাংগঠনিক শৃঙ্খলা থাকে সেই সংগঠন বড় সংগঠনের চেয়েও শক্তিশালী হবে।
তিনি বলেন, নিজেরা নিজেদের শত্রু হওয়ার প্র্যাকটিস বন্ধ করতে হবে। আর সরকারের বিশাল অর্জনকে কারো অপকর্মের জন্য ম্লান হতে দেয়া হবে না। অন্যায় যেই করুক না কেন তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কাদের বলেন, যে সংগঠন অতীত গৌরবান্বিত সে সংগঠন বর্তমান নেতাদের অপকর্মের জন্য কলঙ্কিত হতে পারে না। যারা সংগঠনকে কলঙ্কিত করবে তাদের ছাত্রলীগে থাকার অধিকার নেই।
জাতীয় সঙ্গীত ও দলীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে র‌্যালীর কার্যক্রম শুরু করা হয়। তারপর শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে শোভাযাত্রার উদ্ধোধন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শোভাযাত্রা সফল করতে ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে, বিশাল জাতীয় পতাকা ও ব্যানার ফেস্টুন হাতে নিয়ে যোগদান করে।
শোভাযাত্রাটি অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে টিএসসি মোড়, শাহবাগ, কাকরাইল, বিজয়নগর মোড় ও পুরানা পল্টন হয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে গিয়ে শেষ হয়।