গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার ৮০ থেকে ৯০ হাজার পুলিশকে চাকরিবিধি লংঘন করে দলীয় ভাবে নিয়োগ দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। এসময় জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে ডিএমপির অনেক সদস্যের অপেশাদার আচরণের জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমাও চান কমিশনার। মামলার বাদী বা তদন্তকারি কর্মকর্তা কেউ মামলা নিয়ে বাণিজ্য করলে সবার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও হুশিয়ারি দেন।
সমসাময়িক নানা বিষয়ে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। এসময় তিনি দাবী করেন, নিউইউর্কের চাইতে ঢাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো। যদিও সম্প্রতি ঢাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে বলেও জানান তিনি।
গণঅভ্যুত্থান কেন্দ্রিক মামলায় গণআসামি থাকলেও সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবেনা জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যেসব বাদী বা পুলিশ মামলা বাণিজ্য করছেন তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলাসহ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুলাই আগস্টে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন ডিএমপি কমিশনার। বলেন আওয়ামী লীগ সরকার দলীয় বিবেচনায় ৮০ থেকে ৯০ হাজার পুলিশ নিয়োগ দিয়েছিল।
এসময় ঢাকার ট্র্যাফিক ব্যবস্থা নিয়ে কিছুটা অসন্তোষ প্রকাশ করেন ডিএমপি কমিশনার। বলেন, অটোরিকশার দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে না পারলে অচিরেই ঢাকা শহর চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। নাজুক ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নতিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানান তিনি। পদক্ষেপ নেয়া হবে ছিনতাই বন্ধেও।
শহরের প্রধান সমস্যা যানজট স্বীকার করলেও প্রধান সড়কে অটোরিকশা বন্ধ করতে না পারার দায় নিতে নারাজ ডিএমপি। ব্যর্থতা স্বীকার না করলেও নিয়ন্ত্রণে হিমশিম অবস্থা তা স্বীকার করলেন সংবাদ সম্মেলনে।
জিডি হলে ১ থেকে ২ ঘন্টার মধ্যে তা তদন্ত শুরুরও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।