নিউজ ডেস্ক:
ভুয়া কর্মচারীদের প্রকৃত কর্মচারী দেখিয়ে বেতন, উৎসব ভাতা ও বৃত্তি ভাতার ১ কোটি ৬৭ লাখ ৭৮ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিন মামলায় দুই হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল বুধবার কমিশন বৈঠকে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই তা বিচারিক আদালতে দাখিল করা হবে বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের প্রাক্তন অডিটর নাছিরউদ্দিন মো. আবু সুফিয়ান, টেকনাফ উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও প্রাক্তন সুপার আব্দুচ ছবুর, সোনালী ব্যাংক কক্সবাজার শাখার প্রাক্তন ম্যানেজার মো. আবু তাহের, প্রাক্তন প্রিন্সিপাল অফিসার ও বর্তমানে চট্টগ্রামের পটিয়া শাখার ম্যানেজার মো. গোলাম রহমান এবং টেকনাফ শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার কানন কুমার দত্ত।
তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভুয়া কর্মচারীদের প্রকৃত কর্মচারী দেখিয়ে বেতন, উৎসব ভাতা ও বৃত্তিভাতাসহ মোট ১ কোটি ৬৭ লাখ ৭৮ হাজার ৬৩৭ টাকা তুলে আত্মসাত করেন। এ অভিযোগে ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর কক্সবাজার মডেল থানায় তিনটি মামলা করে দুদক।
এর মধ্যে ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০১২ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ১৯টি ভুয়া বিলের মাধ্যমে বেতন ভাতা বাবদ ১ কোটি ৪২ লাখ ৩ হাজার ৫১৪ টাকা, ২০১১ সালের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচটি ভুয়া বিলের মাধ্যমে উৎসব ভাতা বাবদ ১২ লাখ ৯১ হাজার ২৫ টাকা এবং নার্সিং ইনস্টিটিউটের ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০১২ সালের মার্চ পর্যন্ত ১৬টি ভুয়া বিলের মাধ্যমে ছাত্রী বৃত্তি ভাতা বাবদ ১২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৮ টাকা তুলে আত্মসাত করেন।
পরে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. খলিলুর রহমান সিকদার তদন্ত করে প্রতিবেদন দিলে তিন মামলার চার্জশিট অনুমোদন করে কমিশন।