ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার সাতব্রীজ এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান সেচখাল স্থানীয় কয়েকজন প্রভাশালীদের দখলে। খালের পাড় দখল করে দীর্ঘদিন ধরে ঘর নির্মান করে ব্যবসা বানিজ্য চলছে চরমে। এছাড়াও প্রধান সেচখাল জুড়ে গড়ে উঠেছে গ্রাম্য হাট-বাজার। বদলে যাচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেচখালের সৌন্দর্য। সাতব্রীজে পাউবো’র জায়গা গিলে খাচ্ছে অবৈধ দখলদাররা। দখলের রামরাজত্ব চলছে সেখানে। ঐ এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী বছরের পর বছর ধরে দখল করে রেখেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিকাংশ জায়গা। অসহায় হয়ে পড়েছেন পাউবো কর্তৃপক্ষ। সাতব্রীজ সংলগ্ন হরিশপুর গ্রামের ব্যবসায়ী আদালত হোসেন জানান, তিনি অনেক টাকা ব্যয়ে ঐ এলাকায় নিজ জায়গায় একটি বহুতল ভবন নির্মান করছেন। কিন্তু ভবনের সামনের রাস্তায় অবৈধভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় দোকান ঘর থাকায় যানবাহন সহ পথচারীদের চলাচলে চরম বিঘœ ঘটছে। দীর্ঘ দিন ধরে ঐ এলাকার সিরাজুল, ইছাহাক, সাবু মেম্বর, জানার উদ্দিন, হাফিজুর রহমান, দিদারুল আলম সহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী পাউবো’র জায়গা দখল করে দোকান ঘর নির্মান করেছেন। ভবনের সামনের অবৈধ দোকান ঘর উচ্ছেদ হওয়া প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। তিনি এসব অবৈধ দোকান ঘর উচ্ছেদের জন্য পাউবো সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানান। জানা গেছে, পাউবো কর্তৃপক্ষের দু’একজন অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যাক্তি দীর্ঘদিন ধরে সেচখালের জায়গা দখল করে স্থায়ী পাকা দোকান ঘর তৈরী করে ভোগদখল করছেন। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য শাখা কর্মকর্তা তৎপর থাকলেও পরে তিনি পেরে ওঠেননি। শাখা কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম সেসময় অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদের জন্য নোটিশ দিলেও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অসহযোগতীতার কারনে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে পারেননি। এব্যাপারে হরিণাকুন্ডু পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা সাদ্দাম হোসেন জানান, এ উপজেলায় নতুন যোগদান করেছি। সাতব্রীজ বাজারের সদ্য নির্মিত পাকা স্থাপনা ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও তিনি জানান উক্ত এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সেচখালের জায়গায় নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে দ্রুত অভিযান চালানো হবে। ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (সিবিএ) সভাপতি খুরশিদ শরীফ জানান, পাউবো কর্তৃপক্ষ অসহায় ও অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। খালের পাড়ের এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জোর দাবি জানান তিনি। পাউবো ঝিনাইদহের নির্বাহী প্রকৌশলীর সেলফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এদিকে এলাকাবাসী পাউবো’র জায়গায় এসমস্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে সেচ খালটির সুরক্ষা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।