নিউজ ডেস্ক:
কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা নুরুল আলম হত্যার প্রতিবাদে ডাকা অর্ধদিবস হরতাল চলাকালে নগর বিএনপি ও নগর মহিলাদলের নেতাকর্মীদের বারে বারে বাধা দেয় পুলিশ। তবে রবিবার সকাল থেকেই নগরীতে যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালতও খোলা ছিল। তবে কোথাও বড় কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
সকালে নগরীর স্টেশন রোড ও কাজির দেউড়ি এলাকায় ঝটিকা মিছিল বের করার চেষ্টা করেও সফল হয়নি বিএনপি নেতাকর্মীরা। পুলিশের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ালে মিছিল পণ্ড করে দেয় পুলিশ। নগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনের সামনের সড়কে সমাবেশ করতে চাইলেও পুলিশ বাধা দেয়। এসময় ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতি হয়। পরে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে ৫ জনকে আটক করলে নেতাকর্মীরা নাসিমন ভবনে চলে যান।
এদিকে নগরীর বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। হরতালের প্রভাব না পড়লে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মনে কিছুটা আতঙ্ক ছিল বলে জানা গেছে। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাহবুব হাসান জানান, সকাল ১০টা থেকে নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
এদিকে রবিবার সকালে হরতালের সমর্থনে কাজীর দেউড়ি এলাকায় ছাত্রদলের মিছিল হয়েছে। এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের নেতারা। মিছিলের পরে নগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে নগর বিএনপির সিনিয়র নেতারা বক্তব্য রেখেছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার বিএনপিকে দমন-পীড়নের জন্য নানান কৌশল নিয়েছে। গুম-হত্যা এর মধ্যে অন্যতম কৌশল। মানুষ হত্যা কোন রাজনীতির ভাষা বা কৌশল হতে পারে না।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রাউজান উপজেলার বাগোয়ান এলাকায় কর্ণফুলী নদীর পাড়ে হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় ছাত্রদল নেতা নুরুল আলমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগের দিন বুধবার রাত ১২টার দিকে পুলিশ পরিচয়ে বাসা থেকে তাকে তুলে নেওয়া হয় বলে পরিবার অভিযোগ করে আসছে। বিএনপির স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদেরও অভিযোগ ‘পুলিশই ধরে নিয়ে নুরুল আলমকে হত্যা করেছে’। এর প্রতিবাদে বৃহত্তর চট্টগ্রামে রবিবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত হরতালের ডাক দেয় নগর ছাত্রদল। এই হরতাল কর্মসূচি সফল করতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে ঐক্যবদ্ধ প্রস্তুতি থাকলেও সাধারণ মানুষের কাছে তেমন কোন প্রভাব ফেলেনি।