তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে এই প্রস্তাবনা দেয়া হবে। দীর্ঘ মেয়াদী, মধ্য মেয়াদী এই সংস্কারগুলো করার সক্ষমতা রাখে না অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে এগুলো বাস্তবায়ন করবে। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে যুক্তরাজ্যের আলোকে বিনামূল্যে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হবে।
স্বাস্থ্যখাতের অচলাবস্থার জন্য বিগত সরকারের নানা অনিয়মকে দায়ী করে ড. মোশাররফ বলেন, বর্তমান সরকারের সকল সংস্কার কার্যক্রমকে স্বাগত জানায় বিএনপি। তবে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে সকল সংস্কার সম্ভব।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান তিনি। এসময় তিনি আরও বলেন, আজ থেকে ৫০ বছর আগের তুলনায় জনগণ এখন বেশি স্বাস্থ্য সচেতন। তাই স্বাস্থ্যখাতে সংস্কারের গুরুত্ব রয়েছে।
প্রস্তাবনায় দাবি করা হয়, স্বাস্থ্য সেবায় জনগণের প্রত্যাশিত প্রাপ্তি বঞ্চিত হয়েছে। সমগ্র স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় তীব্র বিদেশ মুখিতা সৃষ্টি হয়েছে। একইসাথে চিকিৎসক ও রোগীর সম্পর্কের হয়েছে অবনতি। স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানসমূহ হয়ে পড়েছে অনিরাপদ। এর ফলে সরকারী স্বাস্থ্য সেবার অধিক্ষেত্রে জনগণ উচ্চ মূল্যের বেসরকারি চিকিৎসা গ্রহণে বাধ্য হয়েছে।
প্রস্তাবনায় রয়েছে- প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ইউনিয়ন ভিত্তিক গ্রামীণ স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ ও স্বাস্থ্য কার্ড প্রবর্তনসহ স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদে সংস্কারের সুপারিশ। যার মধ্যে রোগী ও সেবা প্রদানকারীদের জন্য সমতা ভিত্তিক আইন প্রণয়ন ও সব হেলথ কমপ্লেক্সকে ১০০ শয্যা উন্নীতকরণ। এছাড়া আগামী ৫ বছরের মধ্যে ওষুধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা। পাশাপাশি ওষুধ রপ্তানি ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীতকরণের জন্য ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়।
করণীয় হিসেবে প্রস্তাবনায় বলা হয়, এমতাবস্থায় প্রয়োজন সুষ্ঠু তদন্ত ও পর্যালোচনার মাধ্যমে দুর্নীতির নিরপেক্ষ অনুসন্ধান ও দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির বিধান।