নিউজ ডেস্ক:
মিয়ানমারের রাখাইনে রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর চলছে অমানবিক অত্যাচার ও গণহত্যা। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সহিংসতা পুরো বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে।
অনেকেই একে বর্ণনা করেছেন গণহত্যা হিসেবে, জাতিসংঘ বলছে জাতিগত নির্মূল অভিযান। হত্যা ও জ্বালাও-পোড়াওয়ের ঘটনায় নীরব ভূমিকা পালন করায় দেশের বাইরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি।
তবে সু চির ঘনিষ্ঠ একজন উপদেষ্টার বরাত দিয়ে ব্রিটেনের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য টাইমস এক প্রতিবেদনে বলেছে, বৌদ্ধ অধ্যুষিত মিয়ানমারে মুসলিমবিরোধী বর্ণবাদ নিরুৎসাহিত করে এবং সামরিক বিচ্ছিন্নতা ছাড়াই রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানের পথ খুঁজে বের করার জন্য লড়াই করছেন দেশটির নেত্রী অং সান সু চি। তার মতে, সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থান এড়িয়ে ও বৌদ্ধ সন্যাসীদের মাঝে মুসলিমবিরোধী উত্তেজনা উসকে না দিয়ে দুর্দশা দূর করার জন্য কাজ করছেন সু চি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই উপদেষ্টার মতে, ‘সু চি রাখাইনের ভয়াবহ দুর্ভোগের কথা স্বীকার করেছেন এবং বাস্তবসম্মত সমাধান চান তিনি। ’
সু চির ওই উপদেষ্টা আরো জানান, সু চি এমন কোনো ভাষা ব্যবহার না করেই এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন; যা সঙ্কটকে আরো খারাপ করে তুলতে পারে। বিপজ্জনক পরিস্থিতির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন সু চি; যাতে বেসামরিক সরকার জড়িয়ে পড়েছে। এতে এমন কিছু ঘটছে; যা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে বেশ কয়েকটি প্রস্তাবনা তুলে ধরেছেন সু চি।
সেখানে তিনি বলেছেন, সঙ্কট সমাধানে যা করা দরকার তা সঠিক, ভয়হীন এবং কার্যকরভাবে করা উচিত। অভিযোগ এবং সমালোচনার জবাবে আমরা বিশ্বকে আমাদের নেয়া পদক্ষেপ এবং কাজ দেখাবো।
শরণার্থীদের বার্মায় ফেরার অনুমতি দেয়া হবে। তাদেরকে মানবিক ত্রাণ সহায়তাসহ পুনর্বাসন করা হবে এবং দরিদ্র ওই অঞ্চলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।