বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি ভারত থেকে কম আমদানি হওয়ার কারণে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে।
দেশে এমন সময়ে পেঁয়াজের দাম শতক ছাড়াল, যখন বাজারে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও বাড়তি। যেমন বাজারে কাঁচা মরিচের কেজি এখন আড়াই শ টাকার ওপরে। এ ছাড়া গত কয়েক দিনের বৃষ্টির মধ্যে দাম বেড়েছে বেশ কিছু সবজিরও। চালের দাম স্থিতিশীল থাকলেও মাছের দাম উর্ধ্বমুখী। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা।
আষাঢ়ের কালো মেঘে ঢাকা আকাশ। সেই কালো রঙ যেন ভর করেছে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আসা ক্রেতাদের মাঝে। পায়ে পায়ে কাদা–পানির দুর্ভোগ নিয়ে একটু কম খরচে বাজার করার আসায় এখানে এলেও মেলে না ফর্দের তালিকা অনুযায়ি কেনাকাটা করা।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাজধানীর শেওড়াপাড়া, তালতলা ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দুই সপ্তাহ আগের তুলনায় দেশি পেঁয়াজের দাম অনেকটা বেড়েছে।
পেঁয়াজের খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, চলতি বছর পেঁয়াজের মৌসুম শুরুই হয়েছে উচ্চ দাম দিয়ে। ফেব্রুয়ারি মাসে মৌসুমের শুরুতে ঢাকায় নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০-১০০ টাকা দরে। মার্চে পেঁয়াজের দাম ১২০ টাকা ছাড়িয়েছিল। এরপর এপ্রিলে কিছুটা কমে আবার তা বাড়তে থাকে। কোরবানি ঈদের সময় বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি ছিল ৮০-৯০ টাকা; যা এখন ১০০-১১০ টাকায় পৌঁছেছে। অর্থাৎ ১৫ দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজ কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। শুধু গত তিন দিনেই বেড়েছে ১০ টাকা।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে চার-পাঁচ মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। ফলে এ সময় মানুষ বেশি পরিমাণে দেশি পেঁয়াজ কিনেছেন। অন্যদিকে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিলেও ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। দেশটির অভ্যন্তরেও পেঁয়াজের দাম বাড়তি। ফলে বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম দেশি পেঁয়াজের চেয়েও বেশি পড়ছে।
এদিকে, বাজারে ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যায়নি। শসা কেজিপ্রতি ১০০ টাকা, কচুর লতি কেজি প্রতি ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা কেজিপ্রতি ৬০ টাকা, পেঁপে কেজিপ্রতি ৫০ টাকা, লেবুর ডজন ৯০ টাকা, কাঁচামরিচ কেজিপ্রতি ৩২০ টাকা, বেগুন (লাল, সাদা) কেজিপ্রতি ১২০ টাকা, আলু কেজিপ্রতি ৫৫ টাকা, আদা কেজিপ্রতি ২৮০ টাকা, রসুন কেজিপ্রতি ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।