চুয়াডাঙ্গার আদালতে ৮ জনের বিরুদ্ধে পিটিশন মামলা : তদন্তে পিবিআই
নিউজ ডেস্ক:সৃজনীর নির্বাহী পরিচালক ড. হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে এবার ষ্ট্যাম্প, এটিএম কার্ড, মানিব্যাগ ও মোবাইল উদ্ধারের মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে মালয়েশিয়া ভিত্তিক মেডিকো গ্রুপের এরিয়া ম্যানেজার ও মহেশপুর উপজেলার গৌরিনাথপুর গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে আরিফ হুসাইন বাদী হয়ে ঝিনাইদহ বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন। মামলার আসামীরা হলেন, সৃজনীর নির্বাহী পরিচালক ড. হারুন অর রশিদ, ছেলে তামিম, চাচাতো ভাই লাভলু ও কর্মচারী তৌহিদুজ্জামান। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সমন জারী ও ঝিনাইদহ সদর থানার ওসিকে আসামীদের কাছ থেকে ষ্ট্যাম্প, এটিএম কার্ড, মানিব্যাগ ও মোবাইল উদ্ধার পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে সৃজনীর নির্বাহী পরিচালক ড. হারুন অর রশিদসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার আদালতে আরেকটি নির্যাতনের মামলা হয়েছে। যার মামলা নং দামুড়হুদা পিটিশন নং ২১৫/১৮। মামলার বাদী চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামের জনৈক নজরুল ইসলামের স্ত্রী মিতা খাতুন। মামলাটি আদালতের নির্দেশ পেয়ে ঝিনাইদহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করছে। মামলায় সৃজনীর নির্বাহী পরিচালক ড. হারুন অর রশিদ, কর্মচারী সোহেল, দারজুল, তৌহিদ, মাসুম, লাভলু, সবুজ ও মোজাম্মেল হককে আসামী করা হয়েছে। ঝিনাইদহ পিবিআই’র পরিদর্শক আব্দুর রব সোমবার তদন্তের বিষয়টি স্বীকার করে জানান, চুয়াডাঙ্গার বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। মামলা সুত্রে জানান গেছে, সৃজনীর দর্শনা অফিসের গ্রীল কেটে ও ভল্ট ভেঙ্গে ১৩ লাখ ২৯ হাজার টাকা চুরি হয়। এ ঘটনায় অফিসের ইনচার্জ নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মিতাসহ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা থানায় মামলা করে সৃজনী কর্তৃপক্ষ। গত ১৮ এপ্রিল নজরুলকে সৃজনীর হেড অফিস ঝিনাইদহে ডেকে নিয়ে এনে ঘরে আটকে নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের ফলে নজরুল অসুস্থ হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করেন। এই ঘটনায় নজরুলের স্ত্রী মিতা খাতুন বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গার একটি আদালতে ৮ জনের বিরুদ্ধে পিটিশন মামলা দায়ের করনে। আদলত মামলাটি তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে পাঠিয়েছেন।