নিউজ ডেস্ক:
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, সুখী-সমৃদ্ধ ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য অর্জন হলেই স্বাধীনতার স্বপ্ন এবং আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে। সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০১৭’ উপলক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, একটি মর্যাদাসম্পন্ন জাতি গঠনের মাধ্যমেই এ আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব। এজন্য আমরা নতুন প্রজন্মকে গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। এ প্রজন্মই হবে আধুনিক বাংলাদেশ নির্মাণের কারিগর। তাদের আধুনিক জ্ঞান ও প্রযুক্তিতে এমনভাবে দক্ষ করে তুলতে হবে, যাতে তারা বিশ্বে প্রতিযোগিতা করে নিজেদের জায়গা করে নিতে পারে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি অর্থনৈতিক বৈষম্য আর শোষণ এ অঞ্চলের মানুষকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের চেতনায় উজ্জীবিত করে। বঙ্গবন্ধু ছয় দফার মাধ্যমে বাঙালি জাতীয়তাবাদের এ চেতনা সর্বত্র ছড়িয়ে দেন। তার ৭ মার্চের ভাষণই প্রকৃত অর্থে স্বাধীনতার ঘোষণা। দেশের জনগণের অপরিসীম ত্যাগ ও বঙ্গবন্ধুর মতো নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হয়।
তিনি বলেন, বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, আমাদের স্বাধীনতা। আর ঘটনার মহানায়ক হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা যাতে স্বাধীনতার লক্ষ্য অর্জন করতে না পারি, সেজন্যই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল। স্বাধীনতা-বিরোধীরা পরিকল্পিতভাবে এ কাজ করেছিল।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুখ্য বক্তা ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের এমেরিটাস প্রফেসর রফিকুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. অরুণা বিশ্বাস, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. জিনাত ইমতিয়াজ আলী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস-২০১৭ উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।