নিউজ ডেস্ক:
সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. জয়নাল আবেদীনসহ তিন কর্মকর্তাকে সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার বিকেলে দুদক সিলেটের সহকারী পরিচালক দেবব্রত মণ্ডল এ নোটিশ দেন।
সম্পদের হিসাব চেয়ে ডিসি ছাড়াও সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি-সার্বিক) শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (এনডিসি-নেজারত) তানভীর আল নাসীফ।
বিকেল পাঁচটায় ডিসিসহ তিন কর্মকর্তাকে নোটিশ দেওয়ার বিষয়টি সন্ধ্যায় নিশ্চিত করেছেন দুদক সিলেটের সহকারী পরিচালক। সাত দিনের মধ্যে তাদের নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তবে রাতে যোগাযোগ করলে জেলা প্রশাসক জানান, এ ধরনের নোটিশের বিষয়ে তিনি অবহিত নন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আমি মিটিংয়ে ছিলাম। দুদকের কোনো নোটিশ হাতে আসেনি।’ এনডিসিকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
দুদক জানায়, সম্প্রতি এক ব্যক্তির লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডিসি, এডিসি ও এনডিসি বরাবর নোটিশ পাঠানো হয়। এতে তাদের সম্পদের হিসাব আগামী ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে দুদকের সিলেট কার্যালয়ে দাখিল করার জন্য বলা হয়। নোটিশে শুধু তাদের সম্পদের হিসাবের পরিপূর্ণ বিবরণ দাখিল করতে বলা হয়।
দুদকের একটি সূত্র জানায়, সিলেট নগরের শাহজালাল উপশহর এলাকার এক ব্যক্তি জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট চারটি বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে বেনামে কয়েকটি ফ্ল্যাট ক্রয়, এলআর ফান্ডের টাকা লুটপাট এবং দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে জলমহাল, বালুমহাল, পাথর কোয়ারি, হাট ইজারা দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসক ও এনডিসির বিরুদ্ধে সিলেট সার্কিট হাউসের বরাদ্দকৃত টাকা লুটপাটের অভিযোগ করা হয়। জেলা প্রশাসকের এসব দুর্নীতির কাজে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সহযোগিতা করেন বলেও অভিযোগ আনা হয়।
দুদক জানায়, এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে দুদক। বর্তমান জেলা প্রশাসকের সিলেটের আগের কর্মস্থল ও নেত্রকোনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব থাকাকাল পর্যন্ত প্রশাসনিক দায়িত্বের প্রাথমিক তদন্ত শেষে সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুদকের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘১৮ ডিসেম্বর তিন কর্মকর্তার কাছ থেকে সম্পদের হিসাব পেলে এটি নিয়ে সরেজমিনে যাছাই-বাছাই করা হবে। এর মধ্যে কোনো গরমিল পেলে অথবা দাখিল করা সম্পদের উৎস সম্পর্কে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া গেলে দুদক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’