সরকারের বেঁধে দেওয়া নির্ধারিত দামে মিলছে না ব্রয়লার, সোনালি মুরগি এবং ফার্মের ডিম। কারণ হিসেবে খামারিরা বলছেন, ডিম ও মুরগির উৎপাদন খরচের চেয়ে দাম কম হওয়ায় লোকসানে পড়তে হবে তাদের।
সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ডিম ও মুরগির দাম মানছে না রাজধানীর বিক্রেতারা। প্রতিটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকা দরে।
আর ডজনের দাম ১৬০ টাকা। রাজধানীর কোনো কোনো বাজারে ৬০ টাকায় উঠেছে প্রতি হালি ডিমের দাম।
বাজারে বিক্রি হওয়া এ দাম মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারণ করা দামের চেয়ে বেশি। বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগিও।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
রাজধানীর এসব বাজারে দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। কোনো কোনো বাজারে ১৯০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগির প্রতি কেজির দাম বাজারভেদে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা। লেয়ারের (বড় মুরগির) কেজি বাজারভেদে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, আজকাল মুরগির দাম বাড়েনি। কয়েকদিন আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে মুরগী। কেন দাম বেড়েছে এ জবাব তাদের কাছে নেই।
দাম বৃদ্ধি নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই অধিকাংশ ক্রেতার। বাড়তি দামেই চুপচাপ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ডিম। একই অবস্থা মুরগির ক্ষেত্রেও। মিরপুর-২ এর কাঁচাবাজারে কেনাকাটা করছেন আমেনা খাতুন। তিনি বলেন, দাম বেশি কেন এইটা বলে লাভ নেই। জিজ্ঞেস করলে একশটা কারণের কথা বলবে।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রতিটি ডিমের খুচরা ১১ টাকা ৮৭ পয়সা দাম বেঁধে দেয়। আর পাইকারি পর্যায়ে দাম বেঁধে দেওয়া হয় ১১ টাকা ১ পয়সা। সেখানে খুঁচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকা। এক হালি ডিম কিনলে প্রতিটি ডিমের দাম দিতে হচ্ছে ১৩ টাকা ৭৫ পয়সা। গলির বাজারে ডিমের দাম আরও বেশি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রতি কেজি সোনালি মুরগির খুচরা পর্যায়ে দাম বেঁধে দিয়েছে ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা। বাজারে বিক্রি খুচরা পর্যায়ে ২৭০ থেকে থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্রয়লার মুরগির দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে ১৭৯ টকা ৫৯ পয়সা। কিন্তু অধিকাংশ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি দরে। কোনো কোনো বাজারে ১৯০ টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি।
বেঁধে দেওয়া দামে পণ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের মনিটারিং ব্যবস্থা জোরদার করার তাগিদ দিয়েছেন ক্রেতারা।
news24bd.tv/এসএম