দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি বাতিল করেছে সরকার। এসব কমিটি পুনর্গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২১ আগস্ট) রাতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব (বিদ্যালয়–২ শাখা) আক্তাররুন্নাহার স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
অফিস আদেশে বলা হয়, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি এ মন্ত্রণালয়ের ২০১৯ সালে ৬ নভেম্বরের প্রজ্ঞাপন দ্বারা জারিকৃত নীতিমালার অনুচ্ছেদ ৫–এর উপানুচ্ছেদ ৫.১ অনুযায়ী বাতিল করা হলো।
এ অবস্থায় ওই নীতিমালার অনুচ্ছেদ ২–এর উপানুচ্ছেদ ২.১০ অনুযায়ী অ্যাডহক কমিটি গঠনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এর আগে মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন দেশের সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে সরিয়ে দেয় সরকার। এসব প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলা পর্যায়ে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি এবং উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের।
২০১৯ সালে ৬ নভেম্বরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করা হয়।
ওই নীতিমালার অনুচ্ছেদ ৫–এর উপানুচ্ছেদ ৫.১–এ বলা হয়েছে, সরকারি আদেশ, নির্দেশ অমান্য/উপেক্ষা ও অর্পিত দায়িত্ব কর্তব্য পালনে অবহেলা, আর্থিক অনিয়ম এবং যে কোনো শৃঙ্খলাপরিপন্থী কার্যক্রমের জন্য যথারীতি কারণ দর্শানো নোটিশ জারিপূর্বক সংশ্লিষ্ট উপজেলা/মহানগরী প্রাথমিক শিক্ষা কমিটি উপযুক্ত ক্ষেত্রে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং আর্থিক অনিয়মের জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সে ক্ষেত্রে উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার তারিখ নির্ধারণ করে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করবেন।
আর নীতিমালার অনুচ্ছেদ ২–এর উপানুচ্ছেদ ২.১০–এ বলা হয়েছে, কোনো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোনো যুক্তিসংগত কারণে ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা সম্ভব না হলে সাময়িকভাবে সর্বোচ্চ ছয় মাসের জন্য অ্যাডহক কমিটি গঠন করা যেতে পারে। ছয় মাসের মধ্যে নিয়মিত কমিটি গঠন করতে হবে।
অন্যথায় সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা কর্মকর্তা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ আওতায় অসদাচরণের দায়ে দায়ী হবেন।